হুমায়ুন কবির: নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে সদর ভূমি সহাকারী (এসিল্যান্ড) বুলবুল আহমেদ। এসময় জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী ও বিয়েতে সহযোগী সকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ভদ্রপাড়া গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে এ অভিযান চালায় এসিল্যান্ড, মডেল থানার পুলিশ ও জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি।
জানা গেছে, বাংলা কৃষ্ণ গোবিন্দ বিদ্যালয়ের ৭ ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ভদ্রপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোস্তাকিমের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়েটিকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা বিষয়টি থানা ও এইএনওকে অবহিত করেন। পরে মডেল থানার এস আই আব্দুস সালাম সহ সংগঠনটির সম্পাদক ও সদ্যস্যরা পুলিশ নিয়ে এলাকায় যান। সেখানে ছেলের বাড়িতে অবস্থানরত মেয়েটিকে পেয়ে ইউএনওকে অবহিত করলে এসিল্যন্ড বুলবুল আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। সেই সাথে দুজনেরই জাল জন্ম নিবন্ধন তৈরী করা ও বিয়েতে সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মেয়েটিকে মুছলেখা নিয়ে তার মায়ের কাছে তুলে দেয়া হয়। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলেও মেয়ের মা অঙ্গীকার করেন। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জাল জন্ম নিবন্ধন তৈরীর কথা স্বীকার করে। সেই সাথে সিংহের বাংলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহিম তাৎক্ষনিক খোঁজ নিয়ে বের করেন দুজনের বয়সই জাল নিবন্ধেনের মাধ্যমে কমানো হয়েছে।
নেত্রকোনা সদর এসিল্যান্ড মোঃ বুলবুল আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জাল নিবন্ধনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি কোথায় কিভাবে করেছে সেটির আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও যারা বিয়েতে সহযোগী ছিলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হেচ্ছ।