বাংলাদেশ প্রতিবেদক: ফের চলন্ত বাসে ধর্ষণ। ধর্ষক বাসচালক শুধু ধর্ষণ করেই থামেননি, প্রমাণ লুকাতে ভিকটিমকে হত্যাও করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক সোহেলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
নিহতের নাম মমতা আক্তার (১৯)। সে ধামরাই উপজেলার বাসিন্দা ও একটি সিরামিক কারখানার শ্রমিক। আটক সোহেল রাজবাড়ীর পাংশা থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তিনি ওই কারখানার শ্রমিকদের বাসে করে আনা-নেয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোররাত চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে মামলা করেছেন।
জানা যায়, শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে তিনি কারখানার বাসে করে কর্মস্থলের দিকে রওনা হন। এ সময় ওই বাসে শুধু চালক ছিলেন। মমতা ছাড়া বাসে আর কোনো যাত্রী ছিলেন না। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর হিজলিখোলা এলাকায় চালক ফিরোজ এলাহী সোহেল মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যান।
গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে যায়। রাত সাড়ে আটটার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে খোঁজাখুঁজি করে মমতার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, নিহত মমতার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধামরাই থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যা মামলা করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না তা বলা যাচ্ছে না।