জয়নাল আবেদীন: রংপুরে বিত্তশালীদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণের পর কারো কাছে হাজার আবার কারো কাছে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে খোদ এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে আটক করেছে কোতয়ালী পুলিশ।
পুলিশ জানায় একটি চক্র গড়ে দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন তিনি। আটক কানিজ ফাতেমা ওরফে ফাতেমা কানিজ রংপুর পুলিশ হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। মঙ্গলবার বিকালেন নগরীর সেনপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদের পর বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মেট্টোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফুল ইসলাম বলেন, শুনেছি কানিজ ফাতেমার সঙ্গে হাবিবুর রহমান থাকেন না। এ ঘটনায় আর কে কে সম্পৃক্ত তা তদন্ত করে দেখা হবে।
মেট্টোপলিটনের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, অপরাধী চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে কানিজ ফাতেমাকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। পুুলিশ হাসপাতালের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, কানিজ ফাতেমার সঙ্গে এখন আমারসম্পর্ক নেই। আমাদেও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। পুলিশ জানায়,কয়েক জন নারী ও পুরুষকে নিয়ে একটি চক্র গড়েছেন কানিজ ফাতেমা। চক্রের নারী সদস্যদেও দিয়ে বিত্তশালীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। এরপর বাসায় ডেকে অশ্লীলছবি ও ভিডিও তুলে বø্যাক মেইল কওে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন। আসামী কানিজ ফাতেমা ও আরও কয়েক জন নারী নিয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়েতুলেছেন। অভিজাত ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন এসব কর্মকান্ড চললেও পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হওয়ায় ভয়ে কিছু বলতোনা স্থানীয়রা।
এর আগে সোমবার এই চক্রের সদস্য নগরীরগ্র্যান্ড হোটেল মোড় এলাকার শাহরুখ করিম অনিক ও তার স্ত্রী আসমানি আক্তারকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব-১৩। অনিক ও তার স্ত্রী আসমানি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবান বন্দিতে উঠে আসে কানিজ ফাতেমার নাম। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক কওে পুলিশ। সূত্র জানায়, কানিজ ফাতেমার সূত্র ধরে তার অন্যান্য সহযোগীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এই চক্রে আর কে কে আছেন তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।