জি এম মিন্টু: কেশবপুরে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত বৃদ্ধকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাহানপুর গ্রামের মৃত নিমাই দাসের ছেলে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা নগেন দাস (৮০) বুধবার রাতে এলাকার একটি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেনার পথে একই গ্রামের হরিচরণ দাস, গুরুচরণ দাস, হরণ দাসের ছেলে গোপাল দাস, গুরুচরণ দাসের ছেলে গোবিন্দ দাস, হাজরা দাসের ছেলে শংকর দাস মিলে তার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে হরিচরণ দাসের বাড়ির সামনে লাঠি-সোটা দিয়ে বেদম মারপিঠ করে রক্তাক্ত জখম করে। তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ওই রাতেই তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে পরের দিন বৃহস্পতিবার কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।। এব্যাপারে হরিচরণ দাস ও গুরুচরণ দাসের কাছে জানতে চাইলে তারা পারপিটের কথা শিকার করে বলেন, নগেন দাসের চরিত্র ভাল না, মহিলা কেন্দ্রীক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারপিট করা হয়েছে। আহত নগেন দাস জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তারা হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমাকে মারপিট করেছে।
এব্যাপারে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন দফাদার বলেন, ওই রাতেই আমি মারপিঠের ঘটনা শুনেছি। মুক্তিযোদ্ধা নগেন দাসের পরিবার থেকে মারপিঠের ঘটনায় আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে আহত নগেন দাস জানান।