বাংলাদেশ প্রতিবেদক: গাজীপুরে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত সন্দেহে তুলে নিয়ে এক গৃহবধুকে মারধর ও চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক গৃহবধুর বিরুদ্ধে। ঘটনার দু’দিন পর গেল রাতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলছে, অন্যদেরও ধরতে অভিযান চলছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, ‘আমার স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক তোর, এটা অবৈধ কাজের চিহ্ন’ কইয়ে আমারে ধরেই মাথার চুল কেটে দিছে। সবচেয়ে বড় কষ্ট আমি তো কোনো অপরাধ করিনি।
হাসপাতাল থেকে ফিরে নিজ বাসায় যেতে পারছেন না গৃহবধূ। সামাজিক লজ্জা আর নিরাপত্তাজনিত কারণে ঠাঁই নিয়েছেন বোনের ভাড়া বাসায়।
গত ২৫ অক্টোবর শহরের সালনা এলাকায় বাসায় ফেরার পথে টেনে-হিঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে নিজ ঘরে আটকে নির্যাতন করে পরিবহন শ্রমিক নেতা বাবুলের স্ত্রী ও তার লোকজন। পরে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে কাঁচি দিয়ে মাথার চুল কেটে নেয়াসহ ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে অভিযুক্তরা।
পরবর্তীতে স্বজনদের সহযোগিতায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ওই গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
এদিকে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় প্রধান আসামি ফাহিমা আক্তার ও শাহিদা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হাসান।
নির্যাতিতা গৃহবধূ এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। ভাইয়ের চাকরির জন্য কথা বলতে গিয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা বাবুলের সঙ্গে এক বছর আগে পরিচয় হয় ওই গৃহবধূর।