তাবারক হোসেন আজাদ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত রায়পুর থানার বাহিরে মামলার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে আহত শিশুর পরিবারের দুই স্বজনকে।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে রায়পুর উপজেলার খাসেরহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৭ জুন) রাতে অসুস্থাবস্তায় শিশুটিকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার তন্ময় কুমার পাল সদরে প্রেরণ করেন। অভিযোগ ওঠা কিশোরের বয়স ১৫ বছর। সে হাফেজি মাদরাসার ছাত্র। তার বাড়িও একই গ্রামে। শিশু ও কিশোর তারা পরস্পর স্বজন হয়।
শিশুটির মা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েকে ঘরে রেখে আমি রান্না করছিলাম। তখন আমার মেয়ে কক্ষে একা খেলছিলো। সে সময় মৃত দেবরের ছেলে মাদরাসা ছাত্র (১৫) আমাদের ঘরে আসা-যাওয়ার সুবাধে মোবাইল দেওয়ার কথা বলে মেয়েকে ঘরে ধর্ষণের চেষ্টা করে।’ এসময় তার মেয়ের চিৎকারে আমি ঘরে গেলে ছেলেটি দৌড়ে পালাবার সময় আটক করে লাটি দিয়ে পিটাই। এসময় সে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ে আমাকে বলে, ‘…তাকে ব্যথা দিছে। তবে সে কিছুই গুছিয়ে বলতে পারছিল না। পরদিন আমরা মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই।’ তখন কিছুটা ভালো হলেও এখন তার অবস্থা ভালো না-(খুব জ্বর ও শরীর ব্যাথা)।
রায়পুর সরকারি হাসপাতালের গাইনি বিভাগের একজন সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রোববার রাতে শিশুটিকে তার মা-বাবা হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তখন তার কিছুটা রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।
ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার তন্ময় বলেন, ‘মেডিকেল পরীক্ষা ছাড়া ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে না। পুলিশ চাইলে আমরা পরীক্ষা করাব।’
অভিযুক্ত কিশোর রায়পুর শহরের লেংড়াবাজার এলাকার মাদরাসা ছাত্র শামিম ও তার মামা সালাহ উদ্দিন মিঝিকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘খবর পাই একটি শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা তার মা-বাবাকে থানায় ডেকেছি। ঘটনা সঠিক হলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।