বাংলাদেশ প্রতিবেদক: মুলাদীতে স্ত্রীর ডিভোর্সের চিঠি পেয়েই শাশুড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী জামাতা ইব্রাহিম সিকদার। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ডিক্রীরচর গ্রামের প্যাদারহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ইব্রাহিম সিকদার রড দিয়ে পিটিয়ে প্রাক্তন শাশুড়িকে মারাত্মক আহত করেছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর শ্বশুর আতাহার সিকদার। ইব্রাহিম সিকদার ডিক্রীরচর গ্রামের মৃত মোতাহার সিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালি, মুলাদী থানায় এবং আদালতে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেপ্তার হয়ে ইতিপূর্বে একাধিক বার পুলিশ ও র্যাবের হেফাজতে এবং জেল-হাজতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন শ্বশুর আতাহার সিকদার।
জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে ইব্রাহিম সিকদারের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আতাহার সিকদারের মেয়ে রুমানা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রুমানা জানতে পারেন তার স্বামী মাদকসেবী এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। রুমানা স্বামীকে মাদক ব্যবসা থেকে ফিরে আসার অনুরোধ করলে মারধর করা হয় তাকে। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ৪ বছর আগে বিদেশ চলে যান রুমানা। দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীকে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে রুমানা ২ মাস আগে তাকে ডিভোর্স দেন।
গতকাল ইব্রাহিম স্ত্রীর ডিভোর্সের চিঠি হাতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়। বেলা ১২টার দিকে ইব্রাহিম তার মা রেবেকা বেগমকে নিয়ে শ্বশুরের ঘরে যায়। সেখানে শাশুড়ি বিউটি বেগমকে রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। ওই সময় তার মেয়ে রুবি মাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতদের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় আতহার সিকদার বাদী হয়ে ইব্রাহিম ও তার মা রেবেকা ভানুর বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মুলাদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার দাস বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।