মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
Homeসারাবাংলাচান্দিনায় বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার

চান্দিনায় বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার

ওসমান গনি: কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার সদর হতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার এমনকি গ্রামের অনেক দোকানেই সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে অবাধে। এসব সিলিন্ডার বিক্রির ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। কীটনাশক ওষুধের দোকান,মুদি দোকান, ষ্টেশনারী দোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। তাছাড়া এসব গ্যাস সিলিন্ডারগুলো অধিকাংশ দোকানদাররা মানুষের ও যানবাহনের চলাচলের রাস্তার পাশে সাজিয়ে রাখে। এতে করে মানুষের চলাফেরা ও যানবাহন চলতে কষ্ট হয়। অনেক সময় যানবাহনের চলাচলের সময় ধাক্কা লেগে বিস্ফোরিত হয়ে মারাত্মক ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে যেকোন সময়।

সরেজমিনে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটা বাজারের দোকানগুলোতে দেদারছে চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। অথচ উপজেলায় এলপি গ্যাস ব্যবসার জন্য লাইসেন্স রয়েছে হাতেগনা কয়েক জন ব্যবসায়ীর।

জেলা বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্র জানায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল এলপি গ্যাস বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনও দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না।

২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্তু এই আইন কেউই মানছেন না।

উপজেলার নবাবপুর এলাকার সোহেল ,মাধাইয়া এলাকার নূরে আলম ও বাড়েরা এলাকার সফিকসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দেয়া দরকার। নজরদারি না থাকার কারণে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি। ফলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

লাইসেন্সধারী গ্যাস বিক্রেতারা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার অনেকটা বোমার মতো। গ্যাস বিক্রি করতে হলে অবশ্যই পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তা না হলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না। তারা আরও বলেন, বিস্ফোরক লাইসেন্স নিতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু অবৈধ ব্যবসায়ীদের কারণে বৈধ ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে।

চান্দিনা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স ছাড়া যারা ব্যবসা করছে তাদেরকে আমরা লাইসেন্স করতে বলছি। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস ব্যবসায়ীদের সিলিন্ডার না দিতে ডিলারদেরকে নির্দেশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

চান্দিনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ বলেন, এসব গ্যাস সিলিন্ডার সরকারের লাইসেন্স ছাড়া কেউ বিক্রি করতে পারবে না। বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যারা বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments