বাংলাদেশ প্রতিবেদক: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নরেশ রবিদাসকে (৪৫) শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ স্ত্রী-সন্তান গাছে ঝুলিয়ে রাখে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী শান্তনা রবিদাস এবং ছেলে সুজন কুমার হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, নরেশ জুতা সেলাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করে কসমেটিকস সামগ্রী বিক্রি করতেন। এতে যা আয় হতো তার প্রায় সবটুকু তিনি মাদক সেবনে ব্যয় করতেন। তিনি প্রায়শই মাদক সেবন করে মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করতেন। এতে তার স্ত্রী ও সন্তান অতিষ্ঠ হয়ে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) তুলশী গঙ্গা নদীর মাদারতলীঘাট ব্রিজ এলাকায় মাদক সেবন অবস্থায় নরেশকে দেখতে পায় স্ত্রী ও ছেলে। তখন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছেলে সুজন গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধের চেষ্টা করে। আর স্ত্রী শান্তনা পরনের মাফলার দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা বাড়িতে ফিরে দড়ি মরদেহ পাশের আম গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
সোমবার ভোরে ওই এলাকায় গাছে নরেশের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, হত্যার পর যে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া হয় সেই দড়ির বাঁকি অংশ নিহতের গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা-ছেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, নরেশের মা লক্ষ্মী রানী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।