আব্দুদ দাইন: পাবনার সাঁথিয়ায় যুবকের লাশ উদ্ধারের ৩দিন পর হত্যা কান্ডের ক্লু উৎঘাটন করেছে থানা পুলিশ। আপন ভাবীর সাথে খালাতো ভায়ের পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় জীবন দিতে হলো কাওছার (১৭) কে। এঘটনায় ভাবীসহ ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সাঁথিয়া থানার অীফসার ইনচার্র্জ(ওসি)জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের পোরাট গ্রামের শুকুরের ছেলে মালেক(১৮)কে ফোনলিস্ট দেখে ১৭ সেপ্টেম্বর আটক করা হয়। আটককৃত মালেক জানান, হাসানপুর গ্রামের খালেক মোল্লার বাড়িতে(খালুর বাড়ি) থাকা কালে তার বড় ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী নাজমুলের (খালাত ভায়ের) স্ত্রীর সাথে মালেকের অবৈধ সম্পর্ক হয়। ভাবীর সাথে মালেকের অবৈধ সম্পর্ক তার খালাতো ভাই কাওছার দেখে ফেলে। অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও সংসার রক্ষায় আপন ভাবী কাওছারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রথমে মালেককে দিয়ে দেবরকে হত্যা পরিকল্পনা করা হয়। মালেক খালাতো ভাইকে হত্যা করতে পারবে না জানালে বন্ধুদের সহায়তা নিতে বলে ভাবী। মালেক এলাকার ৪বন্ধুর সাথে কথা বলে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন রাতে(১৩সেপ্টেম্বর,শুক্রবার) মালেক কাওছারকে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে প্রথমে হাসানপুরের সুমনের মৎস্য খামারে নিয়ে যায়। সেখানে লোকজন থাকায় তারা কৌশলে পাশের রেল লাইনে নিয়ে গলায় গামছা ঁেপচিয়ে কাওছারকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে চারজন মিলে রেলের পাতের সাথে মাথায় আঘাত করতে থাকে। পরে শরীরের শার্ট ও গেঞ্জি দিয়ে হাত পা ঁেবধে পাশের খালে ফেলে দেয়। সোমবার রাতে(১৬ সেপ্টেম্বর) কাওছারের বাবা খালেক মোল্লা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় মঙ্গলবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার খালইভরা গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে রুবেল(১৯) ও হাসানপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী কাওছারের ভাবী মুসলিমা (২৬) কে আটক করে পুলিশ। বুধবার পাবনা আদালতে আসামীদের হাজির করলে তারা হত্যা কান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, ভাবীসহ ৬জন আসামীর মধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে। প্রকাশ গত সোমবার(১৬সেপ্টেম্বর) উপজেলার হাসানপুর রেল লাইনের নিচ থেকে হাসানপুর গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে কাওছার (১৭) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে উধাও হয়।