আব্দুল লতিফ তালুকদার: নামজারি আবেদনে ক্রুটি থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মচারীকে অফিস কক্ষের ভেতরে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্তের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে এসিল্যান্ডের নিজ অফিস কক্ষে এমন কান্ড ঘটান তিনি। দুই কর্মচারী হলেন, সার্টিফিকেট পেশকার মমিনুল ইসলাম ও আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম। জানা যায়, সোমবার দুপুর ১ টায় আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলামকে নিজ কক্ষে ডেকে নেন এসিল্যান্ড অমিত দত্ত। পরে নামজারির কাজে ক্রুটি দেখিয়ে দফায় দফায় খায়রুল ইসলামকে জুতাপেটা করেন তিনি। এরপর খায়রুল ইসলাম বের হয়ে আসলে ওই সময় সার্টিফিকেট পেসকার মমিনুল ইসলাম তার কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত জুতা দিয়ে তার দিকে ঢিল ছুঁড়েন এবং চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে রাগে মমিনুলের মাথার জুতা দিয়ে আঘাত করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারপিট করেন।
আউটসোর্সিংয়ের কম্পিউটার অপারেটর খায়রুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুরে নামজারির কাজে ভুল দেখিয়ে এসিল্যান্ড স্যার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জুতাপেটা করেছেন। সার্টিফিকেট পেশকার মমিনুল ইসলাম ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ড স্যারের অফিস কক্ষ প্রবেশ করা মাত্রই আমাকে জুতা দিয়ে ঢিল মারেন এবং চেয়ার থেকে উঠে মাথাসহ শরীরে জুতা দিয়ে আঘাত করেন। আমি কুরআনের হাফেজ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলেও আমার লেবাস নিয়ে কটুক্তি করেন। এরপর সে আরও ক্ষিপ্ত হলে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এছাড়াও অফিসে যোগদান করার পর থেকে তিনি গত কয়েক মাসে সেবা গ্রহীতাদের নামজারি নিয়ে সময়ক্ষেপণসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী।
অপরদিকে, সেবাগ্রহীতা এসএম আব্দুল বারি জানান, চার মাস হলো আমার জমির নামজারি করতে দিয়েছি। নানা টালবানা করে হয়রানি করছে এসিল্যান্ড স্যার। এমন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত জানান, খায়রুল আমাদের কোন স্টাফ নয়। এ অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তাদের বিরুদ্ধে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ইশরাত জাহান বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।