জি.এম.মিন্টু: কেশবপুরে আড়ুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অবৈধ সভাপতির অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রবিবার সকালে আড়ুয়া গ্রামের শত শত নারী- পুরুষ,অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম,অভিভাবক সদস্য আলমগীর হোসেন, মেম্বর সেলিম মোল্যা,সংরক্ষিত মেম্বর জাহানারা বেগম,সাবেক মেম্বর সিরাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, অভিভাবক লাভলু সরদার,দাতা সদস্য নজরুল ইসলাম,শাহাদাত হোসেন,আবুল সরদার ও আব্দুল খালেক মোল্যা প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ সরদার নিজে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হয়ে কি ভাবে আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ আড়–য়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হলেন। তিনি সম্পূর্ন অবৈধভাবে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়েছেন। ইতোমধ্যে তার সভাপতি পদ বাতিলের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন।
তিনি তার সভাপতি পদ হারাবেন নিশ্চিত জানতে পেরে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপারের সহযোগীতায় নিয়োগ বানিয্যে মেতে উঠেছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে তার অপছন্দ প্রার্থীদেরকে বিনা কারনে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা অর্থবানিজ্যের বিনিময়ে তার পছন্দের প্রার্থীদের ঐ পদে নিয়োগ দেওয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। অবিলম্বে এই নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ না হলে আগামীতে কঠোর আন্দলনে যাওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তারা।
আড়ুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান,অত্র প্রতিষ্ঠানে সুপার,নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া এই ৩টি পদের মধ্যে সুপার পদে ৯ জন,নিরাপত্তাকর্মী পদে ১১ জন ও আয়া পদে ৭ জনের আবেদন যাচাই-বাছায়ে বৈধ হয়েছে। বিবিধ ত্রুটির কারনে বাকীদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ডের মধ্যে এখনও জিডি প্রতিনিধি নির্ধারিত হয়নি। নিয়োগ বানিজ্যের কথা অসিকার করে তিনি বলেন,সভাপতির সাথে উদ্ভুদ্ধ এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে,তিনি আমাকে বলেছেন পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত এই নিয়োগ কার্য্যক্রম বন্ধ রাখতে।