বিমল কুন্ডু: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানে অবিলম্বে স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত বগুড়া – নগরবাড়ি মহাসড়ক সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন (৩) এর সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন, জাকারিয়া জিহাদ, আশরাফুল রাকিব, রায়হান হোসেন, শামীম হোসেন, মালা খাতুন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২০১৬- ১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভাড়া করা ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও ৮ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য নির্ধারিত স্থানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। এর আগে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানে তাঁরা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারের দোসরখ্যাত ৪ খলিফার সহায়তায় বিগত দুই উপাচার্য প্রায় দুইশত কর্মকর্তা – কর্মচারি সহ শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে নিজেদের পকেটের উন্নয়ন করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন করেননি।
তারা আরও বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় শ্রেণী কক্ষ ও আবাসন সংকটের কারনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ও আবাসনে নানা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকা। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার সমাবেশস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতশীঘ্র সম্ভব স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে তিনি পদত্যাগ করে চলে যাবেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র – ছাত্রী অংশ নেন। জানা গেছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষ শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বুড়ি পোতাজিয়া মৌজার প্রায় দুইশত একর সরকারি খাস জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য স্থান নির্ধারন করেছেন। পূর্ববর্তী দুই উপাচার্যের অবহেলার কারণে ৮ বছরেও ওই জমি বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর হস্থান্তরিত হয়নি।
বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ টি বিভাগে ১২ ‘শ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।