মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪
Homeজাতীয়সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি, লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি...

সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি, লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো : প্রধানমন্ত্রী

জয়নাল আবেদীন: আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মা- বাবা, ভাইসহ সব স্বজনদের হারিয়েছি। সব শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। দেশের মানুষের ভাগ্য উনয়নে কাজ করতে আওয়ামীলীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । ১৫ আগস্টের পর বাংলার মানুষ ছিল অবহেলিত। তাদের মাথাপিছু আয় বাড়েনি। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আমি এগিয়ে এসেছি।

আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুরও পীরগঞ্জ এই তিনটি নির্বাচনী আসনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি কথা গুলো বলেন । উত্তরবঙ্গে এখন আর মঙ্গা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা দূর করা হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হয়েছে। সবাই দুই বেলা খেতে পারবে সে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলাম । দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ ওয়াকফ স্টেট সরকারি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রংপুর-২ আসনের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন । এরপর প্রধানমন্ত্রী মিঠাপুকুরে রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী রাশেক রহমানের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য প্রদান কওে তাঁকেও পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন নেত্রী । দুটো আসনের জনসভা শেষে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সড়কপথে মিঠাপুকুর থেকে চলে আসেন পীরগঞ্জের লালদীঘির ফতেপুরে সেখানে শায়িত প্রয়াত স্বামী বিশিষ্ট পরমানু বিঞ্জানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াসহ পারিবারিক কবরস্থানে যান । এ সময় শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর ও প্রয়াত স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর দুপুরের আহার সেরে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জে জনসভাস্থলে যান। পীরগঞ্জে জনসভাস্থলে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। তাদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে সভাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা। নৌকাসদৃশ্য ভ্যান ও হাতে হাতে ছোট কাঠের নৌকা নিয়ে নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা এসেছেন সভাস্থলে।

উল্লেখ্য এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জে একই মাঠে জনসভা করেছেন। তারও আগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পীরগঞ্জের তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা ও লালদীঘির ফতেহপুরের জয়সদনে কর্মীসভা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ এ বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য দেন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে রংপুর-২ আসনে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, রংপুর-৪ আসনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর-৫ আসনে রাশেক রহমান ও রংপুর-৬ আসনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতার কারণে রংপুর-১ আসনে দলীয় প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু ও রংপুর-৩ আসন থেকে তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রতিটি জনসভায় ভবিষ্যতে দলের কান্ডারি মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। সবাই দুই বেলা খেতে পারবে সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা সেটা করতে পেরেছি।দেশকে আরও উন্নত করতে চাই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য কেবল নৌকা মার্কা জিতলেই সেটা সম্ভব। আমার আর হারাবার বা পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আপনারা ভালো থাকবেন সেটাই আমার লক্ষ্য। এজন্য ৭ জানুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনারা ভোট দিতে যাবেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। আওযয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উনয়ন হয়। দেশের প্রতিটি জেলার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করাই সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশের কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।

তারাগঞ্জ ওয়াকফ স্টেট সরকারি কলেজ মাঠে রংপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক রংপুর ৫ আসনে জায়গীর হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাশেক রহমান এবং রংপুর ৬আসনে পীরগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। আরও একবার তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কাই আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন করেছে। তাই আরও একবার সুযোগ দেবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার সময়কালে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ তুলে ধরেন।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং পীরগঞ্জের জনসভাস্থলের দিকে সমবেত হতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। ওইদিন সকাল সকাল সবাইকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আর নৌকা নূহ নবীর নৌকা মার্কা। সেই মহাপ্লাবনের সময় মানুষকে বাঁচিয়েছিল। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উত্তরবঙ্গ মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়েছে। এখন আর মঙ্গা পিরীত নেই। মঙ্গা থেকে মুক্তি পেয়ে এখন উন্নয়নের সুবাতাস বইছে। এই নৌকা মার্কায় আপনাদের জীবন-মান উন্নত করেছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার আরও একবার সুযোগ দেবেন। যাতে আপনাদের জীবন সমৃদ্ধ করতে পারি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার হাত তুলে ওয়াদা করেন নৌকায় ভোট দিবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুরের তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর এবং পীরগঞ্জের জনসভাস্থলের দিকে সমবেত হতে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই মিছিলে করে নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেন। রিকশা-ভ্যান কিংবা পায়ে হেঁটে দলে দলে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন তারা।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments