জয়নাল আবেদীন: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রংপুর জেলার বর্ষীয়ান এক রাজনীতিক তোহাম্মেল হোসেন মজনুু গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলীয়ভাবে কোন প্রাপ্তি না ঘটলেও জীবনের শেষ সায়াহ্নে চিকিৎসা ব্যয়ে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যগণ । পেশায় পত্রিকা ব্যবসায়ি হলেও ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি ছিলো তার নেশা । বিভিন্ন সময়ে দলের ভিন্ন ভিন্ন পদে থেকে দলকে আগলে রেখেছন তিনি ।১৯৭২ থেকে ৭৫সাল পর্যন্ত তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯৮৫ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত রংপুর শহর শাখার সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রংপুর জেলা শাখার কার্যকরি কমিটির সদস্য এবং আওয়ামীলীগ রংপুর শহর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । এরপর ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রংপুর জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য দায়িত্ব পালন করেন । অত্যন্ত সততার সাথে দলীয় দায়িত্ব পালন করায় এবং আওয়ামীলীগের একনিস্ট কমি হওয়ায় ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে মজনুকে না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা তার ছোট ভাই এস এম মোজাম্মেল হোসেন বাবলাকে বিএনপি ও জামাত শিবির গংরা নির্মমভাকে অস্ত্রদ্বারা আঘাত করে গুরুতর জখম করে । ওই সময়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি রংপুওে গুরুতর আহত বাবলাকে দেখতে আসেন এবং চিকিৎসার সকল দায়িতভার গ্রহণ করেন । দীর্ঘ দিন চিকিৎসা পেয়ে বর্তমানে তিনি সুস্থ্যভাবে জীবন যাপন করছেন ।২০০১ সালে আবারো বিএনপি ক্ষমতায় এসে তোহাম্মেল হোসেন মজনুর নামে অসংখ্য মামলা দায়ের করে নানাভাবে হয়রানি সহ এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি ছাড়া করে । এদিকে দীর্ঘ দিন অসুস্থ্য দেখে পারিবারিকভাবে চিকিৎসা করাতে পরিবারটি এখন আর্থিকভাবে নি;স্ব হয়ে গেছে । এ অবস্থায় তার চিকিৎসা ব্যয় মেটানো পরিবারের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে । পরিবারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছে ।