পূর্ণ রায় রিপন: উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের শিংগীমারী এলাকায় তিস্তা প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশ হতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করলেন গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান। তিনি গত সোমবার সন্ধ্যায় অবৈধ বালু উত্তোলন স্থানে থানা পুলিশের এস,আই আমজাদুর রহমানকে পাঠিয়ে এ অনৈতিক কাজটি বন্ধ করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মেশিন মালিক নুরুজ্জামান ওরফে মিসকল পালিয়ে যায়। জানা যায় শিংগীমারী গ্রোয়িং বাঁধ সংলগ্ম তিস্তার মূল প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশ হতে ওই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল গত এক সপ্তাহ থেকে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে আসন্ন বন্যায় ওই বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কাসহ বেশকিছু মালিকানাধীন ফসলী জমি ক্ষতি হওয়ার উপক্রম হয়। ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকসহ এলাকাবাসী গত সোমবার গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিক প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। অভিযোগ ও পত্রিকায় প্রকাশিত খবরকে গুরুত্ব দিয়ে গঙ্গাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান এ অনৈতিক কাজটি বন্ধ করার উদ্যোগ নেন। এদিকে পুলিশ প্রসাশন কাজটি বন্ধ করায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারী প্রভাবশালীরা পুনরায় বালু উত্তোলন করবে মর্মে অভিযোগকারীদেরকে নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এদিকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ায় তারা গঙ্গাচড়া মডেল থানা ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন অভিযোগকারীদেরকে হুমকি ধামকি দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি। কেউ তা চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।