অতুল পাল: প্রাথমিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত বাউফলের এক স্বাস্থ্য সহকারি কারাদন্ড ভোগের পর আড়াই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযুক্ত ওই স্বাস্থ্য সহকারির নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বাবুর হাট কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারি পদে চাকুরি করছেন। জানা গেছে, গত ৩১ মে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এক মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন বাউফলের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস। শহিদুল ওই দন্ড ভোগ করে আবার কর্মস্থলে যোগ দেন। কিন্তু সরকারি বিধি মোতাবেক কোন চাকুরিজীবি কোন আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পণা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ৩-৪ দিন আগে দন্ডাদেশের কাগজপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চাওয়া হলেও তিনি এখন পর্যন্ত তা দেননি। কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এদিকে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে বলেন,ঘটনার সময় আমি বিদেশে প্রশিক্ষণে ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাস ওই দ-াদেশ দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পণা কর্মকর্তা আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র চাননি। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন শাহ মোজাহেদুল ইসলাম বলেন কি বলেন! এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।