তাবারক হোসেন আজাদ: মোঃ জিহাদ । বয়স ১৭ মাস । লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষীন মান্দারি গ্রামে মা ও তাদের দুই ভাই’র বসবাস। প্রায় এক বছর আগে তার ডান চোখের কোনায় একটি ফোঁড়া উঠে। তা ফাঠিয়ে দিলে চোখে মারাত্নক-জখম হয়। ডাক্তারের চিকিৎসা চলার পর গত ৬ মাস চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। চোখ বন্ধের উপক্রম ও এর ভেতরে তৈরি হয়েছে ক্ষত। এ কারণে নষ্ট হতে চলেছে শিশুটির একটি চোখ। চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে ২০ হাজার টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। ফলে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে চোখ হারাতে বসেছে ১৭ মাস বয়সের এ অবুঝ শিশুটি।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরে দোকানে-দোকানে শিশুটির চিকিৎসার সাহায্য চাইতে গেলে মা কুলসুমা বেগম (২৫) এ প্রতিবেদকের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
শিশু জিহাদ সদর উপজেলার মান্দারি ইউনিয়নের মৃত বেলার হোসেনের ছেলে। ছোট্ট একটি ভাঙাচোরা ঘরে থাকে পাঁচ সদস্যের এই পরিবার। দিন আনে দিন খেয়ে চলে পরিবারটি। যন্ত্রণায় শামীমের চোখ দিয়ে পানি ঝরছে এতে বন্ধ হয়ে গেছে তার একটি চোখ। উপরের অংশে তৈরি হয়েছে ক্ষত। সারাক্ষণ চুলকায়। যন্ত্রণায় সে স্থির থাকতে পারে না। রাতে ঘুমাতেও পারে না সে।
শিশুটির মা কুলসুমা আরো জানান, ছেলেকে জেলা সদর হাসপাতাল ও চক্ষু হাসপাতালে দেখালে চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন।
লক্ষ্মীপুর সদর বাগবাড়ি চক্ষু হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম বলেন, শিশুটি তার মা’র কারনে ক্ষতিগ্রস্থ। কয়েকটি ধাপে এর অস্ত্রোপচার করাতে হবে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে-যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন জিহাদের-মা। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে মোবাইল নম্বর ০১৮৩৯৮২৯৭৭৩-তে যোগাযোগ করতে পারবেন।