জয়নাল আবেদীন: রংপুরের পীরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার ঘটনার দীর্ঘ ৬ বছর আট মাস পর ডিএনএ টেস্টে রহস্য উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ। এ ঘটনার অন্যতম আসামি হাসানুর জামান শিপন ওরফে টেক্কাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল আসামি শিপন। বুধবার দুপুরে রংপুর নগরির কেরানিপাড়ায় সিআইডি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া।ধর্ষক হাসানুর জামান টেক্কা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডির কাছে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন দাবি বলে পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল পীরগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণ করে তার চাচাতো ভাই হাসানুর জামান শিপন ওরফে টেক্কা। এতে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়লে প্রেমের সম্পর্ক ধামাচাপা দিতে কৌশলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আসামি।এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় মামলা হলে ৬ বার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বদল হয়। কিন্তু ঘটনার কোন সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে সিআইডিকে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়। সিআইডি পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামির ব্যাপারে নিশ্চিত হন। এরপর সিআইডি পুলিশ আসামি হাসানুর জামান শিপন ওরফে টেক্কাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানান পুলিশ সুপার মিলু মিয়া ।