অতুল পাল: বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামে বিয়ের নয় বছর পর স্বামী মো. সাইফুল্লাহ এবং স্ত্রীর রাহানী জান্নাত টুলুর মধ্যে মতবিরোধের জেরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর যৌতুক মামলা দিয়ে স্বামীকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দম্পত্তির জারির তাসনিম (৮) ও উমামা তাইবা (৬) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাইফুল্লাহ বিলবিলাস গ্রামের আ. ছত্তার মোল্লার ছেলে এবং টুলু উপজেলার বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের আবদুল রাজ্জাক হাওলাদারের মেয়ে। সাইফুল্লাহ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বিষয়টি এখন বাউফলে টক অব দি টাউনে পরিণত হয়েছে। স্বামী সাইফুল্লাহ্ বলেন, প্রায় নয় বছর আগে সামাজিকভাবে রাহানী জান্নাত টুলুর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টুলু উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা ও আচার ব্যবহার শুরু করে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আমাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। গতবছর করোনাকালিন তুচ্ছ কারণে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে ঘরের আসবাপত্র ভাঙচুর করে। পরে টুলুর ভাই আবুল কালাম আজাদ এসে রাজনৈতিক প্রভা বিস্তার করে পুলিশ দিয়ে আমাকে হয়রানি করেন। ওই ঘটনার পর টুলু কাপড়-চোপর ও স্বর্ণালংকারসহ দুই মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের বাবার বাড়ি চলে যায়। আমি একাধিকবার টুলুকে ফিরে আসার অনুরোধ করলেও সে আমার ঘর করবে না বলে জানিয়ে দেয় দীর্ঘদি পর্যন্ত টুলু ফিরে না আসায় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাউফল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগাল নোটিশ পাঠাই। নোটিশের কোন জবাব না পেয়ে আমি তাকে বিধি মোতাবেক তালাক দেই। তালাকের খবর পেয়েই টুলু আমার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে। আমি জামিনে এসে স্ত্রীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করলে টুলু মামলা প্রত্যাহারে অস্বকৃতী জানায়। এদিকে মামলা না তুলে টুলু সন্তান নিয়ে সাইফুল্লাহর ঘরই করতে চায় বলে টুলুর বাবার বাড়ির নিকট স্বজনরা জানিয়েছেন। সাইফুল্লাহ দাবি করছেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতেই বাবার বাড়ির লোকজনের কথায় টুলু মামলা করেছে। আমি মামলার কারণে অতিষ্ঠ। তালাকের পর কোন ভাবেই আমি টুলুকে নিয়ে সংসার করবো না। বর্তমানে বিষয়টি বাউফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রাহানী জান্নাত টুল বলেন, আমি আমার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর সংসার করতে চাই।