বাংলাদেশ প্রতিবেদক: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ১৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরও দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উভয় প্রার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবাদপুকুর বাজার চার মাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
একডালা ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার সারা দিন নির্বাচনি প্রচারণা শেষে সন্ধ্যার পর আবাদপুকুরবাজার চার মাথায় তার নিজ অফিসে কর্মী-সমর্থকসহ উপস্থিত হই। এর কিছু পরেই হঠাৎ করেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহাজাহান আলীসহ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন লোক এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে এবং প্রায় ১৪ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নির্বাচনি প্রচার বন্ধ করে মাঠ ত্যাগ করতে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ সময় হামলাকারীদের মারধরে নয়ন, লুৎফর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে হামলা এবং ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাজাহান আলী বলেন, ইউনিয়নে প্রচারণা শেষে গুয়াতা গ্রামে যাওয়ার সময় আবাদপুকুর চার মাথা মোড়ে পৌঁছালে দেখতে পান স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুলের কর্মীরা রাস্তা রোধ করে মিছিল করছে। সংঘর্ষ এড়াতে পাশকেটে শাহাজাহান তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় পেছন থেকে প্রার্থী রুহুলের লোকজন হামলা করে দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও মারধর করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে তার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে ওই হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনাটি মোবাইল ফোনে এবং একটি সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ নিমিশের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহিন আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।