তাবারক হোসেন আজাদ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গত ২৮ নভেম্বর রোববার জামায়াতের প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে নৌকার প্রার্থী নীজেই ব্যালট পেপারে সীল মারাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) মোঃ বিল্লাল মুন্সি।।
বুধবার বিকারে রায়পুরের চরপাতা ইউপির প্রার্থীর নীজের বাড়ির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মিলাদ পড়ে ইউনিয়ন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী বিল্লাল বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন কোন ম্যাজিষ্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিক ছিলোনা। এসুযোগে নৌকার প্রার্থী সুলতান মামুন রশিদ তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হেফজুল্লাহ গুনুকে (মোটরসাইকেল) সঙ্গে নিয়ে ৯টি ওয়ার্ডের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢুকে প্রকাশ্যে সীল মারে। পাশাপাশি প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার ও অন্য এজেন্টরা আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার প্রতিকে সীল মারে। ওই সময় আমি ও আমার লোকজন বাধা দিলে তারা মারধর করে। রাতে ভোট গননার পর নৌকার প্রার্থীকে প্রথম ও জামায়াতের প্রার্থী হেফজুল্লাহ গুনুকে ২য় ও তৃতীয় আমাকে দেখায়। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে পুনরায় ভোট গণনার দাবি বিল্লাল মুন্সি।
নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি উল্লেখ করে এ সময় তিনি আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকের ভোট তার প্রাপ অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের দাবি জানান। এ দাবি জানিয়ে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদনও করবেন বলে জানা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা হাসেম পাটোয়ারী, সেচ্চাসেবকদল নেতা বাবর হোসেন, যুবদল নেতা মন্জুর হোসেন মন্জু, করিম, মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ সাকিবসহ ৩০ নেতা-কর্মী।
গত রোববার ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রায়পুরে ইউপি নির্বাচনে নৌকা-২৬২৩, হেফজুল্লাহ ১৫২২, তিনি ( আনারস ১১১০ ও খোরশেদ আলম ৯৯৪ ভোটের ব্যবধানে ভোট পেয়ে পরাজিত হন।