বাংলাদেশ প্রতিবেদক: গার্মেন্ট শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক। পরে ঘনিষ্টতা। যখন বৈধ স্ত্রী করে নেয়ার কথা বলে তখনই ঘটে বিপত্তি। তাই পথের কাটা দূর করতে চিরতরে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত।
সেই অনুযায়ী গাজীপুর থেকে দৌলতদিয়া ঘাট পার হয়ে এপাড়ে ফরিদপুরের মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুরে এনে হত্যা করা হয় ময়মনসিংহের মেয়ে সুফিয়াকে (২২)। গত ১২ ডিসেম্বর সকালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আ: জলিল।
তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি রিপন মল্লিককে (২০) গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপনের বাড়ি মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুরের ছোট বটতলায়। বাবার নাম আলমগীর হোসেন।
ওসি আ: জলিল জানান, লাশ উদ্ধারের পর ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে সুফিয়ার পরিচয় শনাক্ত হয়। পরের দিন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পায়। এরপর গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার সহযোগিতায় রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রিপনের দেখিয়ে দেয়া স্থান থেকে হত্যাস্থলের কাছেই একটি স্থান থেকে সুফিয়ার ভ্যানেটিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো বলেন, গার্মেন্টে কাজ করার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ের জন্য চাপাচাপি করায় ভিকটিমকে গাজীপুর থেকে নিয়ে এসে হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করে রিপন। মামলা হওয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাত্র তিন দিনের মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয় পুলিশ।