শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
Homeসারাবাংলারায়পুরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে

রায়পুরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে

তাবারক হোসেন আজাদ: লোকবল সংকট, অব্যবস্থাপনা, কর্মকর্তাদের উদাসীনতা, দিনের পর দিন সংযোগ বিকল থাকাসহ নানান কারণে লাভজনক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্মীপুরের রায়পুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এখন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

উপজেলা টেলিফোন এক্সচেঞ্জটির সংযোগ (লাইন) ধারণ ক্ষমতা ৫শ’ হলেও এখন গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ১৬৩ জন। অপরদিকে প্রাচীর না থাকায় রাতের বেলায় মাদক সেবনকারী ও বখাটেদের আড্ডায় পরিণত হয় এলাকাটি।

এলাকাবাসী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও টেলিফোন গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পাশে অবস্থিত টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যলয়টির সামনে ময়লার বাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চারপাশে ঝোপঝাড়ের কারণে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নেই কোন সীমানা প্রাচীর। ঝূঁকিপূর্ণ, ঝরাঝীর্ণ ও দরজা জানালার অধিকাংশই ভাঙ্গা। ভবনটিতে চারজন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের কোন কাজ না থাকায় গল্প ও আড্ডায় সময় পার করতে হচ্ছে। এক্সচেঞ্জটির যথাযথ ব্যবহার না থাকায় সরকারও রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

২০০৭ সালে রায়পুর অ্যানালগ পদ্ধতির টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি প্রায় ৫শ’ সংযোগের ডিজিটাল এক্সচেঞ্জে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটি প্রাথমিকভাবে ২শ’ টেলিফোন সংযোগ দিয়ে চালু করা হয়। চালুর পর নতুন সংযোগ বাড়লেও গ্রাহকসেবাকে গুরুত্ব না দেওয়ায় দিন দিন তা কমতে থাকে। টেলিফোন বিভাগের সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করায় টেলিফোন ছাড়ার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান, নিতান্ত বাধ্য হওয়া ছাড়া গ্রাহকরা আর রায়পুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে যেতে আগ্রহী নন। জনবল সংকটের কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানের সেবার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে নতুন করে কাউকে টেলিফোন সংযোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। বরং অনেক টেলিফোন গ্রাহক তার টেলিফোন সংযোগ বিটিসিএলের কাছে হস্তান্তর করছেন।

রায়পুর সরকারী মার্চ্চেন্টস্ধসঢ়; একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সুবিধা থাকায় দিন দিন টেলিফোনের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ বছর আগে স্বজনদের টেলিফোনের অপেক্ষায় মানুষ টেলিফোন অফিসে এসে লাইনে দীর্ঘসময় দাড়িয়ে থাকতে হতো। প্রায় সময় “বিদ্যালয়ের ল্যান্ডফোন দিয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে নানান সমস্যা দেখা দেয়। লাইনম্যানকে ডাকলেও তারা সময়মত আসে না। তারা বলেন, লোকবল সংকটের কারণে আসতে পারছি না- দেরী হবে বলে ফোন কেটে দেন।”

রায়পুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের জুনিয়র ব্যবস্থাপক একেএম আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সরকারি অফিসিয়াল কর্মকর্তারাই টেলিফোনের গ্রাহক। ‘অপারেটর, লাইনম্যানসহ বিভিন্ন পদে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় দৈনিক ভিত্তিতে লোক নিয়ে আমাকে লক্ষ্মীপুর কার্যালয় থেকে রায়পুর কার্যালয়ে মাঝে মাঝে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে হচ্ছে।’ আগে মাদকসেবীদের অনেক আড্ডা ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। ২০০৮ সালে কোম্পানী রূপান্তরিত হওয়ায় এ সমস্যা বেশি দেখা দিয়েছে।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments