সাহারুল হক সাচ্চু: উল্লাপাড়ায় প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ ও পাকা সড়ক পথের ধারে কমপক্ষে চারশো শিমুল গাছ রয়েছে ৷ ঘাটিনা থেকে পূর্ব দিকে পথ দু’টির ধারের বড় ছোটো শিমুল গাছগুলোয় এখন ফুল ঝড়ে গোটা ( ফল ) আসছে ৷ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বিশ থেকে পচিশ জন গাছগুলো থেকে তুলা সংগ্রহ করেন ৷ তাদের বাড়তি টাকা আয় হয় ৷
উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনার করতোয়া নদীর পূর্ব পাড় থেকে ঢাকা – ঈশ্বরদী রেলপথের ধার ঘেষে সলপ রেল ষ্টেশন কাছাকাছি প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক এলজিইডি থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ৷ রেল পথ ও পাকা সড়ক পথ দু’টির ধারে প্রায় চারশো শিমুল গাছ রয়েছে ৷ এলজিইডির সড়ক পথের ধারে গাছ বেশী সংখ্যক রয়েছে ৷
খোজ নিয়ে জানা গেছে গাছগুলো বিভিন্ন গ্রামের নানা পেশার বসতি লাগিয়েছেন ৷ উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন তিনি প্রায় বিশ বছর আগে এলজিইডি সড়কের ধারে নয়টি শিমুল গাছ লাগিয়েছেন ৷ তিনি লাগানো গাছগুলো থেকে তুলা সংগ্রহ করে বিক্রি করেন ৷ এক থেকে সোয়া মণ তুলা গাছগুলো থেকে মেলে বলে জানান ৷ প্রতি কেজি তুলার এখনকার দাম চারশো টাকা বলে জানা গেছে ৷ একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি বলেন তার লাগানো গাছগুলোর মধ্যে গোটা বিশেক শিমুল গাছ কাটা পড়েছে ৷ এখন পচিশটি গাছ থেকে তুলা সংগ্রহ করেন ৷
একই গ্রামের আরো জনা পাচেক ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে লাগানো শিমুল গাছগুলো থেকে তুলা সংগ্রহ করে থাকেন বলে জানানো হয়৷ সলপ , মাটিকোড়া , ঘাটিনা এলাকার বসতি নানা পেশার সাধারণ জনগণের কথায় রেল পথ ও সড়কের ধারের শিমুল গাছগুলোয় মওসুমে ফোটা ফুলে মেলে ধরা সৌন্দর্য চলার পথে সবাই তাকিয়ে দেখে থাকেন ৷ অনেকেই দেখতে দল বেধে বেড়াতে আসেন ৷