জয়নাল আবদেীন: রংপুর জেলা ছাত্রলীগের ১৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ড ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অভিযোগে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে । অব্যাহতিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতা।রোববার রাত পৌনে ১২টার সময় রংপুর জেলা ছাত্রলীগের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন আপেল, ইয়াসিন আরাফাত শুভ, বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস তুফান, ময়নুল ইসলাম শাকিল, পীরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রায়হান সরকার, গঙ্গাচড়া উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমেদ, কাউনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রেজোযান রিংকু, ইটাকুমারী ইউনিযন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান মিয়া, তাম্বুলপুর ইউনিযন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, কৈকুড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিমন মোল্লা, গজঘণ্টা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল মেহেদী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ আর আরমান খান, দপ্তর সম্পাদক রাশেদ খান আবির ও বড়বিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর ইসলাম। তাদের স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী বহিষ্কারাদেশের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর পত্র পাঠিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম তানিম আহসান চপল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়, এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনের ১৪ জন নেতাকর্মীকে স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিকট সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
আপর একটি সুত্র থেকে জানা গেছে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ও মন্তব্য করায় ১৩ জন এবং একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ। এদের মধ্যে দুইজন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রয়েছেন।শুধু তাই নয় অব্যাহতি পাওয়া নেতাকর্মীদের ফেসবুকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসগুলোর স্ক্রিনশটসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের আর কোন কোন সদস্য ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, তা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে ।