এস কে রঞ্জন: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত আসামীদের সন্ত্রাসী হামলায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরা গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, মোস্তাফিজ সরদার (৩৩), আবু হাওলাদার (৩২) ও আকতার খাঁন (৪৫)। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আহত ভাংগারি ব্যবসায়ী মোস্তাফিজ সরদার বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম টিয়াখালী গ্রামের মৃত মফেজ উদ্দিন চৌকিদারের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী শিপন চৌকিদার ও একই গ্রামের নিজাম আকনের ছেলে হামিম আকনকে প্রধান করে ১১ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের দুজনের নামেই হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়। মামলার বিবরনীতে জানা যায়, উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে বাদী মোস্তাফিজ সরদার একজন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাংগারি মালামাল ক্রয় করে পাইকারি বিক্রয় করেন। ব্যাবসায়িক বিষয় নিয়া ১ নং আসামী শিপন চৌকিদার ও ২নং আসামী হামিম আকনের সাথে তাহার পূর্ব বিরোধ চলছিলো। ওই বিরোধের জের নিয়া আসামীরা প্রায় সময় তাহার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলো। ঘটনার দিন ৩ মার্চ রবিবার দুপুরের সময় তিনি ভাংগারি মালামাল ক্রয় করে টলি গাড়িতে নিয়ে আসছিলো। ওই সময় পূর্ব টিয়াখালী ব্রীজের ডালে পৌঁছলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি আক্রমন করে। তাদের সাথে থাকা ট্রলি গাড়ি ভর্তী মালামালসহ নগদ ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন ও ১ ভরি স্বর্নের একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়। ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে আহত আকতার খানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলি আহম্মেদ বলেন, এবিষয়ে আহত ভাংগারি ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।