বাংলাদেশ প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘায় জামাইয়ের ধাক্কায় পুকুরের পানিতে ডুবে রেহেনা বেওয়া (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর রেহেনার জামাই তছিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে আব্দুল মালেকের সঙ্গে রেহেনা বেওয়ার বিচ্ছেদ হয়। মনিকা খাতুন নামে তার এক মেয়ে ছিল। বছরখানেক আগে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাদু ফকিরের ছেলে তছিকুলের (৩৫) সঙ্গে মনিকার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে মনিকা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়।
মনিকা বলেন, স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছি। কিন্তু বাড়ি ফিরিয়ে নিতে আমার স্বামী মায়ের কাছে ঠিকানা চেয়ে আসছিল। আমার মা কোনোভাবেই তাকে ঠিকানা দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামী মাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে।
বাজুবাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেই।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজাশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে তছিকুল পলাতক রয়েছে।