মিজানুর রহমান বাদল: মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনকে প্রধান আসামি করে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার সংখ্যা দাড়ালো ৪ টি
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এসএম আমান উল্লাহ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কিরণ মিয়া মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় এ নিয়ে ৪ টি মামলা হলো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গত ৪ আগস্ট আন্দোলনকে চূড়ান্তরূপ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগানে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে। সারা দেশের সঙ্গে ওই দিন মানিকগঞ্জেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের সামনে ২০০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন। পিটি আই গেটের সামনে আরও ১০০-১৫০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীউর রহমান কম্পন,পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সরকার, দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মিম, সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হোসেন, গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন সরকার, ঘিওর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম টুটুল, জেলা মহিলালীগ নেত্রী মায়া খানসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ মামলায় আরও তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ জনকে অজ্ঞতা আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এসএম আমান উল্লাহ বলেন, এ মামলার অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।