শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Homeসারাবাংলানীলফামারী থেকে চুরি যাওয়া সোনা সৈয়দপুরের রুপসী জুয়েলার্স হতে উদ্ধার

নীলফামারী থেকে চুরি যাওয়া সোনা সৈয়দপুরের রুপসী জুয়েলার্স হতে উদ্ধার

মহিনুল ইসলাম সুজন: নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রুপসী জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে চোরাই সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ২ ভরি চার আনা সোনা উদ্ধার করা হয়। রবিবার (২১শে এপ্রিল) রাতে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়। নীলফামারী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার জানান, জেলা শহরের প্রগতিপাড়ার (আলিয়া মাদ্রাসা রোড) বাসিন্দা নীলসাগর গ্রুপের পরিচালক (কৃষি) আব্দুল আজিজ গত ১২ই এপ্রিল নীলফামারী থানায় একটি সোনা চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেই লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বাসা থেকে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ২৭ ভরি সোনা ও নগদ ২ লাখ টাকা চুরি যায়। এনিয়ে মামলাটি রেকর্ড হয় পরদিন ১৩ এপ্রিল। পরে তদন্ত করে গত ২০ এপ্রিল সোনা চুরির দায়ে একই এলাকার মৃত. হোদোর আলীর ছেলে লিটন (৩০) কে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার(২১শে এপ্রিল) সৈয়দপুর শহরের শেরে বাংলা সিনেমা সড়কের রুপসী জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে সোয়া দুই ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাপস নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৈয়দপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক তাপস সরল বিশ্বাসে সোনা কিনেছেন বলে জানান। পরে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদি মো: আব্দুল আজিজ বলেন, গত ১২ এপ্রিল দিবাগত রাতে আমার নীলফামারী সদরের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার দ্বিতল ভবনের ছাদের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে বাসায় রক্ষিত স্টিলের আলমিরার তালা ভেঙ্গে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ২৭ ভরি সোনা ও নগদ ২ লাখ টাকা চুরি করে চোর। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করলে প্রথমে প্রতিবেশী হোদোর আলীর ছেলে লিটনকে আটক করে পুলিশ। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দপুরের রুপসী জুয়েলার্স থেকে ২ ভরি ৪ আনা সোনা উদ্ধার করা হয় এবং আটক জুয়েলার্স মালিকের ছেলে তাপসকে আটকের পরও রহস্যজনক ভাবে ছেড়ে দেয়া হয়। আমার ধারণা তাপসকে ভালোভাবে জিজ্ঞসাবাদ করা হলে আমার চুরি যাওয়া সম্পূর্ণ সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ আটকের বিষয়ে কথা হলে তাপস জানান, ভূল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ আমাকে দোকান থেকে আটক করে সৈয়দপুর থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।

এব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহজাহান পাশা জানান, মামলাটি নীলফামারী থানায় হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা-নীলফামারী সদর থানার এস আই প্রদীপ কুমার জানান, চোর লিটনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রুপসী জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী রমেশ কর্মকারের ছেলে তাপস কর্মকারকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার কাছ থেকে ২ ভরি ৪ আনা সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু সোনা চুরির সাথে তার সম্পৃক্ততা নিশ্চিত না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments