তাবারক হোসেন আজাদ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় শতাধিক গ্রাহকের অর্ধ-কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে সুজন কর্মকার নামে এক জুয়েলারী ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার ৫ জন গ্রাহক শহরের মধ্য বাজারের ওই জুয়েলারী দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীকে না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনা জানান। পলাতক ব্যবসায়ী সুজন কর্মকার উপজেলা চরপাতা ইউনিয়নের কামার বাড়ীর বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ কেরোয়া গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধু পারভিন বেগম ও আব্দুর রহিম জানান, গত ৫ মাস আগে ৩ ভরি স্বর্ণ ক্রয় করে অলংকার তৈরিতে (৯০ হাজার টাকা), একই ভাবে আব্দুর রহিম ২ ভরি স্বর্ণ ক্রয় করে অলংকার তৈরিতে (৫০ হাজার টাকা) ও আলোনিয়া গ্রাম থেকে আসা শাহনাজ বেগম ৪ ভরি ওজনের একটি হার বন্ধক রেখে মাত্র ২০ হাজার টাকা নেন। গত ২৬ মে তারা সবাই স্বর্ণ নিতে গিয়ে দেখেন ওই ব্যবসায়ীর জুয়েলারী দোকান বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও এসে দেখেন দোকান বন্ধ। এতে তারা হতাশ হয়ে আশেপাশের ব্যবসায়ীদেরকে জানান এবং ওই ব্যবসায়ীর বাড়ী গিয়ে তাকে না পেয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এছাড়াও গত বছরে মার্চ মাসে গ্রাহকের টাকা নিয়ে মধ্য বাজারের স্বর্ণ বিতানের মালিক প্রায় এক কোটি টাকা, প্রতিমা শিল্পালয় ও বধুয়া জুয়েলার্স নামে দুই ব্যবসায়ী প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পলাতক ব্যবসায়ীর দোকান ঘরের মালিক সুনিল কর্মকার জানান, সুজন গত ১২ বছর ধরে স্বর্ণ ব্যবসা করে আসছিলেন। হঠাৎ করে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আমরাও উদ্বিগ্ন। দোকানের সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলায় গ্রাহকদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই অসংখ্য গ্রাহক ব্যবসায়ীর খোঁজে এসে না পেয়ে কান্না-কাটি করে চলে যাচ্ছেন। রায়পুর জুয়েলারী সমিতির সভাপতি রবিন্দ্র কর্মকার জানান, পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ী আমাদের সমিতির সদস্য নয়, স্বর্ণ ব্যবসার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম এদের মত অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। রায়পুর থানার ওসি (তদন্ত) সোলাইমান হোসেন বলেন, গ্রাহকের স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা কেউ আমাদের জানায়নি। অভিযোগ আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।