হুমায়ুন কবির: নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় গলা কাটা নাটক সাজাতে গিয়ে ব্লেড দিয়ে নিজের হাতের তালু কেটে রক্তাক্ত হয়ে পুলিশের হাতে আটকের পর হাজতে গেছে তানিম নামে এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেরীচর গ্রামে। বিষয়টি মঙ্গলবার জানাজানি হয়। তানিম নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার গাজীপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে। সে ৩ বছর ধরে কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেরীরচর গ্রামে খালা সেলিনা আকতার এবং খালু নাজিম উদ্দিনের বাড়ীতে থেকে স্থানীয় সানরাইজ কিন্ডারগার্টেনে ৭ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন মোবাইল থেকে ফোন আসে পেরীরচর গ্রামে একটি ছেলের মুখে অজ্ঞান করার ¯েপ্র দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে বাড়ীর পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে গেছে দুবৃর্ত্তরা। তাকে স্বজনরা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তানিমকে জিজ্ঞাসাবাদেকালে একেক সময় একেক কথা বলে তানিম। বিষয়টি তাৎক্ষনিক নেত্রকোণা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) কে জানানো হয়। মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়াকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাবাদ করা হয়। এ সময় তানিমের খালার বাড়ীর তার পড়ার টেবিলের উপর হতে একটি রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, তানিমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদকালে তানিম খালা খালুর পরামর্শে গলা কাটা নাটক সাজিয়ে গুজব রটনার জন্য এই নাটক সাজানো হয় বলে জানান। সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম গলা কাটা নাটক সাজাতে এ রকম বনোয়াট ঘটনা প্রচার করা হচ্ছে বলে নিন্দা জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহজাহান মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের প্রাথমিক তদন্তে তানিমকে দিয়ে গুজবে ছড়াতে গলা কাটার নাটক সাজানো হয়েছিল বলে তানিম জানায়। এ বিষয়ে আরো তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।