মিজানুর রহমান বাদল: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কিশোরী এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহযোগি এক নারীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নারী জমিলা মানিকগঞ্জ জেলা সদরের উত্তর সেওতার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। সে ওই মহল্লার জনৈক নিলুফা বেগমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের পরিবার উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামের বাসিন্দা। তারা পরিবার নিয়ে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ওই গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র ও এক সন্তানের জনক রুহুল আমীন রুবেল(৩২)ভিকটিম ও তার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়াত। এরই মধ্যে সে বড় বোনকে (১৪) প্রেমের কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিত। গত ৯ জুন ভিকটিম তার দাদার বাড়ি বাইমাইলে বেড়াতে গেলে রুহুল আমীন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সেখান থেকে তার মোটরসাইকেলে তুলে জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় পাতানো খালা জমিলার বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় ৩ দিন আটকে রেখে সে তাকে ধর্ষণ করে। পাশবিক নির্যাতনে তার আরো দু’সহযোগী অংশ নেয়।
ভিকটিমের মা জানান, ৩ দিন আটকে রাখার পর ওই বাসার মোবাইল নাম্বার থেকে তার মেয়ে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানায়। এলাকার লোকজন নিয়ে ওই বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে ওই শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন তারা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (১৬ জুন) ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিমকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামী প্রাইভেট টিউটর রহুল আমীন রুবেল ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি বাইমাইলে আমার খালার বাড়ি বেড়াতে গেলে রাস্তায় মেয়েটাকে দেখতে পাই। সে মানিকগঞ্জে যেতে চাইলে আমি তাকে মোটরসাইকেলে পৌঁছে দিয়ে আসি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ আবুল কালাম বলেন, ঘটনার মূলহোতা রহুল আমীন রুবেলের কথিত খালা মামলার ২ নং আসামী জমিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।