ফজলুর রহমান: রংপুরের পীরগাছায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে ধর্ষকের ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা, ধর্সিতা কর্তৃক স্বামীকে জোর পূর্বক তালাক প্রদান ও স্বামীর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার( ২ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সোনারায় গ্রামের মকবুল মিয়ার মেয়ের সাথে পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া গ্রামের সামাদ আলীর ছেলে ফয়জার রহমান এর সাথে ৭ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী জীবন জীবিকার তাগিদে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে আসছিল। এরই সুযোগে পার্শ্বের বাড়ির মৃত কালাম আলীর ছেলে সুমন মিয়া দীর্ঘদিন থেকে ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। । রোববার (১লা নভেম্বর) রাতে সুযোগ বুঝে সুমন মিয়া গৃহবধূর শয়ন ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এসময় লোকজন তাদের হাতে-নাতে আটক করে। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার বিকেলে স্থানীয় মাতাব্বররা গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করে। প্রকাশে শালিসী বৈঠকের ১১ সদস্য বোর্ড গঠন করা হয়। এতে বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল হক। শালিসী বোর্ডে ধর্ষকের ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ওই ধর্ষিতার স্বামী ও তার পরিবারকে বাঁচাতে জোর পূর্বক ধর্ষিতা কর্তৃক স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। একই সাথে স্বামী ফয়জার রহমান এর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে গভীর রাতে শালিসী বোর্ডের সকল সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়। ওই শালিসী বোর্ডে মেয়ে পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত মাতাব্বর আতোয়ার রহমান জানান, গ্রাম্য শালিসে যেসব সিন্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটাকে বাবার বাড়িতে রাখা হয়েছে। মেয়ের একটু দোষ থাকায় ধর্ষককে শাস্থি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হযেছে। শালিসী বোর্ডের সভাপতি ফজলুল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনা সত্য, আমি ব্যস্ত থাকায় ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেক হোসেন জানান, শালিসী সভায় উভয়ে পারিবারিক ভাবে মীমাংসা হয়েছে। আর তালাকে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে স্বামীর ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পীরগাছা থানানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ধর্ষণের বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।