ফজলুর রহমান: রংপুরের পীরগাছায় এক ইউপি সদস্যের কন্যারা বেধড়কভাবে পিটালেন বাবার পরকীয়া প্রেমিকাকে। দফায় দফায় সমঝোতার বৈঠক করে সমাধান করতে পারেননি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
ভিকটিম মামলা করতে চাইলেও মেম্বার ও তার লোকজনের হুমকির কারণে মামলা করতে পারছেন না। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুদু মিয়া। বর্তমান ইউপি সদস্য দুদু মিয়া একাধারে দুদফায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকার জনপ্রতিনিধি থাকার সুবাধে প্রায় সব বাড়িতে যাওয়া আসা করেন। দুদু মিয়া জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন বাড়িতে যাওয়া আসার সুযোগে ঢাকায় থাকা ছড়ার পাড় গ্রামের স্থানীয় আইনুল হকের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন তার পরকীয়া চলার সুবাধে আইনুল হকের স্ত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। এঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই ভোরে দুদু মিয়ার তিন মেয়েসহ তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে নিয়ে আইনুল হকের স্ত্রীকে বেধড়কভাবে মারপিট করেন। স্থানীয় ভাবে আব্দুছ সালাম, হায়দার আলী, মেম্বারের ভাই আব্দুল কুদ্দুছ, মান্নান ও খোরশেদসহ আরো অনেকে সমঝোতার চেষ্টা কওে ব্যর্থ হন। তারা দুই রাতে দফায় দফায় রাতভর বৈঠক করেও সমাধান করতে পারেনি। স্থানীয় সালিশী বৈঠকের সদস্য আব্দুছ সালাম জানান, ঘটনাটি সত্য আমরা সমঝোতার চেষ্ঠা করছি। মেম্বার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা ও তার লোকজনের হটকারিতায় সমঝোতা করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিমের স্বামী আইনুল হক ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি এর ন্যায় বিচার চাই। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দুদু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি পরকীয়ার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং বলেন, আমার পরিবারের সাথে আইনুলের স্ত্রীর পূর্ব শত্রুতার জের থাকায় আমার মেয়েরা তাকে মারধর করেছে। বর্তমানে আমি দিনাজপুরে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি। এছাড়াও অভিযুক্ত মেম্বারের বড় মেয়ে ঝরনা বেগম ঘটনার
বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আজ রাতে যেকোন মূল্যে আমরা সমঝোতা করবো। কৈকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম লেবু মন্ডল বলেন, ইউপি সদস্য দুদু মিয়া এলাকায় আছে, গত শুক্রবার সন্ধায় তিনি আমার সাথে চা খেয়েছেন স্থানীয় কৈকুড়ি বাজারে।