বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
Homeসারাবাংলা'গাছে যখন আম পাকবে, তখনই বাজারজাত করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা'

‘গাছে যখন আম পাকবে, তখনই বাজারজাত করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা’

ফেরদৌস সিহানুক শান্ত: কয়েকবছর থেকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আম পাড়া ও বাজরজাত করা হতো চাঁপাইনবাবগঞ্জে। কিন্তু চলতি বছর আম পাড়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেনি জেলাটির আমবিষয়ক টাস্কফোর্স কমিটি।

গাছে যখন আম পাকবে, তখনই বাজারজাত করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। তবে কাঁচা ও অপরিপক্ক আম পাড়লে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে এ কমিটি। এতে করে অধিকাংশ আমচাষিরাই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জেলার আমচাষিরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে শৈত্য প্রবাহ আর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় আমের মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। এতে আম পাকতে দেরি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘায় মোট ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ টি আম গাছে আমের চাষ হচ্ছে। এ মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ হাজার ৪৭০ দশমিক ৫ বিঘা, শিবগঞ্জে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ দশমিক ৫ বিঘা, গোমস্তাপুরে ৩১ হাজার ৫২৩ দশমিক ৪ বিঘা, নাচোলের ২৮ হাজার ২৭৩ দশমিক ৯৫ বিঘা, ভোলাহাট উপজেলায় ২৭হাজার ৩৪০ দশমিক ২ বিঘা জমিতে আম চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম চাষ হচ্ছে। আর আম উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। আমের চাষ সম্প্রসারণ হলেও আমের ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আম চাষি আব্দুল খালেক বলেন, ‘এবার বাগানের বড় গাছে মুকুল কম হওয়ায় গাছগুলোতে ফলন কম হয়েছে । তবে ছোট গাছের বাগানগুলোতে আম বেশি। পাশাপাশি এ বছর প্রচুর নতুন পাতা গজানোয় আমের বাগানগুলোতে গত বছরের চেয়ে অর্ধেক আম এসেছে। ’

সদর উপজেলার অপর চাষি মুনজের আলম মানিক জানান, টাস্কফোর্স রাজশাহীর সাথে সমন্বয় করে আম পাড়ার সময় সীমা অন্যান্য বছর বেঁধে দিলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবারই অন্তত ১০ দিন পরে ফলটি পাকতে শুরু করে। এতে করে প্রকৃত আমচাষীরা সময় বেঁধে দেয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। টাস্কফোর্সের সময় বেঁধে না দেয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে যেন অসাধু ব্যবসায়ীরা অপরিপক্ক আম বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে ট্রাস্ট ফোর্সের নজর রাখতে হবে। ’

শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্ত্তি ইউনিয়নের আমচাষী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস জানান, গত মাস থেকে কয়েকদফা ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারনে আমের কিছুটা ক্ষতি হলেও এ বছর বাগানে তেমন একটা সেচ লাগেনি। তবে আবহওয়া ঠাণ্ডা থাকায় আম পাকতে সময় লাগছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আম আগে বাজারজাত শুরু হলেও প্রতিবারই চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম উঠতে অন্তত দশদিন বেশি সময় লাগে। আর এ বছর দেরিতে মুকুল আসায় এবং গত কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডা আবাহওয়া বিরাজ করায় পরিপূর্ণভাবে এখনও আম পাকেনি।

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার মৌসুমে আম বাজারজাত করতে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যখনই বাগানের গাছে আম পাকবে, তখনিই বাজারজাত করতে পারবে আম ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও বলেন, ‘চাষিদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অপরিপক্ক আম বাজারে তুললে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments