মিজানুর রহমান বুলেট: কুয়াকাটার আকাশে এবার প্রথমবারের মতো উড়লো প্যারাসুট। আর এ প্যারাসেলিং এক নজর দেখতে ভীড়ড় জমিয়েছে হাজরো পর্যটক।
রবিবরা সন্ধ্যায় পরীক্ষামূলকভাবে এ বস্তুটি উড়িয়েছে লিটন নামের এক পর্যটক। তবে এটির অনুমোদন পেেেল বানিজ্যিক ভাবে পর্যটকদের বিনোদন দিতে এটি উড়াতে চান তিনি। প্যারাসুট মূলত সবার আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দু। কিন্তু এ বস্তুটি সচরাচর দেখা মেলেনা। এটি মূলত আত্মরক্ষার জন্য বিমানে রাখা হয়। আবার পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য এটি বিভিন্ন পর্যটন স্পটে উড়ানো হয়। প্যারাসুট উড়ানোর সময় পাখির চোখে সৈকত উপভোগ করতে চায় অনেক পর্যটক। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কোন পর্যটককেই উঠাননি এ প্যারাসুটে।
ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে থেকে আসা পর্যটক সবুর খান জানান, বিকালে সৈকতের বেঞ্চিতে বসা ছিলাম। এসময় হঠাৎ দূর থেকে দেখলাম পাখির মতো কোন বস্তু আকাশে উড়ছে। দূর থেকে দৌড়ে ওখানে গিয়ে দেখলাম এক ব্যক্তি স্পীড বোডের সাহায্যে প্যারাসুটের মাধ্যমে প্যারাসেলিং করছে। ইচ্ছে হলো নিজেও করি। কিন্তু এটি নাকি পরীক্ষামূলকভাবে উড়ানো হয়েছে। তাই আর উঠতে পারলাম না।
কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক মো: বারেক হাওলাদার জানান, প্যারাসেলিং এই প্রথমবারের মতো খুব কাছ থেকে উপভোগ করেছি। বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনুমতি না থাকা নিজে প্যারাসেলিং করতে পারলাম না। কুয়াকাটা বীচ ট্যুরিজমের সত্ত্বাধিকারী লিটন খান জানান, আজ প্রথমবার পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা নিজেরা প্যারসেলিং করেছি। কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে অনুমোদন না পাওয়ায় বানিজ্যিক ভাবে পর্যটদের উঠাতে পারছিনা। তবে কোরবানীর সময় এটি জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমোদন চেয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই অনুমোদন পাবো। এ প্যারাসুট উড়াতে আমার এখানে একটি স্পীড বোড কেনা হয়েছে। এবং নিরাপত্তার জন্য একটি ওয়াটার বাইক ব্যবহার করা হয়েছে।
ট্যুর অপারেটরস এ্যাসিয়েশন অফ কুয়াকাটা (টোয়াক) এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মূলত কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটছে। আগত পর্যটকরা এখানে কক্সবাজারের ফ্লেভারটা চাচ্ছে। এখানে বীচ এ্যাক্টিবিটির জন্য পর্যটকদের বিনোদনে প্যারাসেলিং সহ স্ক্রুটার প্রয়োজন। তবে এগুলো হতে হবে পর্যটক বান্ধব।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, প্যারাসুট মূলত পর্যটক আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু। এটা মূলত কিভাবে উড়ানো যাবে বা এটি বীচ বান্ধব কিনা কিংবা এটা বীচে উড়ানো সম্ভব কিনা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কিনা এসব দিক বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।