বিমল কুন্ডু : শাহজাদপুর থানা পুলিশ ভ্যান চালক রাসেল (১৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে। ওই হত্যা মামলার একমাত্র আসামী জাহঙ্গীর হোসেনকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত রাসেল পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার ডেমরা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে হত্যাকারী জাহাঙ্গীর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার সাঈদ মন্ডলের ছেলে। কৌশলে রাসেলের মটর চালিত ভ্যান ছিনতাই করে তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে জাহাঙ্গীর।
আজ বৃহস্পতিবার ৪ অক্টোবর দুপুরে থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান , গত ৩ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের চরাচিথুলিয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ার ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। উদ্ধার করা লাশের পরিচয় সনাক্ত ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে থানা পুলিশ ঘটনাটি পাশ্ববর্তী সকল থানাকে অবহিত করে এবং ব্যাপক অভিযান শুরু করে। পরদিন নিহতের বাবা- মা থানায় এসে রাসেলের লাশ সনাক্ত করেন। পরে নিহতের বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একইদিন মামলার সূত্র ধরে থানা পুলিশের চৌকস একটি টিম উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে খুনী জাহাঙ্গীরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এসময় জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে রাসেলে ভ্যান বিক্রির সাড়ে ৫ হাজার টাকা, একটি মোবাইল, ভ্যানের ৪ টি ব্যাটারী ও ভ্যানের চাবি উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান আরও জানান, গত ১ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে ডেমরা থেকে রাসেলের ভ্যানযোগে জাহাঙ্গীর মন্ডলপাড়া আসে। একপর্যায়ে ওই ভ্যান ছিনতাই করার জন্য কৌশলে রাসেলকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর লাঠি দিয়ে রাসেলের মাথায় আঘাত করে এবং পরে গলায় লুঙ্গি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন, এস আই মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।