বাংলাদেশ প্রতিবেদক: দিনাজপুর হাজি মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস সহকারী। এ ঘটনায় তিনজন শিক্ষকের মাথা ফেটেছে। একজনের ফেটেছে ঠোঁট। আহত শিক্ষকদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার একাডেমিক ভবন-২-এর তৃতীয় তলায় হাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকরা হলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি রোকনুজ্জামান (৩৫), সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন (৩৫), প্রভাষক হারুন-অর-রশিদ (৩০), নির্মল চন্দ্র রায় (৩০) ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক মাহাবুব হোসেন (৩০)।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিভাগের শিক্ষক-ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাডেমিক শিক্ষা সফরের কথা ছিল। সিদ্ধান্ত ছিল সবাই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে উপস্থিত হবে। কিন্তু ৯টা পেরিয়ে গেলেও আসছিলেন না অফিস সহকারী তাজুল ইসলাম। এ সময় তাকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন কেটে দেন। পরে সোয়া ৯টার দিকে তিনি উপস্থিত হন। তখন বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান তাকে দেরি করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাজুল পাশের রুমে থাকা পানির গ্লাস এনে উপস্থিত শিক্ষকদের এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করতে থাকেন। পরে তাদের চিৎকারে অন্য কর্মচারী ও শিক্ষকরা এগিয়ে এসে তাজুলকে আটক করেন। আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের সহকারী পরিচালক ডা: আবু রেজা মোহাম্মাদ মাহমুদুল হক জানান, আহত তিনজনের মাথার খুলি ফেটে গেছে। অন্য একজনের মাথায় চোট লেগেছে খুব। বিভাগের চেয়ারম্যানের ঠোঁট কেটে গেছে। তবে প্রত্যেকেই আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো: সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এ ঘটনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক মো: কামাল উদ্দীন সরকারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’