জয়নাল আবেদীন: বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করে কাউকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি । তিনি বলেছেন, বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল, তারা আন্দোলন করবে। সবচেয়ে বড় কথা নির্বাচনই গণতন্ত্রের শেষ কথা। রাজপথে আন্দোলন করে কেউ কাউকে সরিয়ে দেবে, এটা সম্ভব নয়। তাদের প্রতি আহ্বান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনে সবাইকে নির্বাচনে আসা উচিত। তাহলেই দেশ শান্তিতে থাকবে।
বুধবার দুপুরে তিন দিনের সফরে রংপুরে এসে রংপুর ডায়াবেটিস সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা চাই ফেয়ার নির্বাচন হোক। মুখে বলব ফেয়ার হোক, আর কাজ করব অন্যটা সেটাতো হবে না। আমি যা বলি তাই মনে প্রাণেও সেটা বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষ যেমনটা চায়, তেমনটাই হোক। এলাকার উন্নয়নও হোক। আওয়ামী লীগ বড় দল, সেকারণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে রংপুর সিটি নির্বাচনে খারাপ ফলাফল হবার কথা নয়।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুরসহ ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে কিনা, এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান মাস উলপক্ষে বিশেষ বিবেচনায় আটটি জরুরি পণ্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবার কোনো কারণ নেই। কারণ যারা বাকিতে আমদানির সুবিধা পাবেন তাদেরকে ডেফার্ড পেমেন্ট বা ছয় মাসের মধ্যে পেমেন্ট দিতে পারে, এমন শর্ত রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ডলারের যা দাম বেড়েছে আমাদের ইমপোর্ট আইটেমগুলোর উপর তার প্রভাব পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তখন ডলারের ভ্যালু ধরে হিসেব করে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এখনও মূল্যস্থিতি কমই আছে। যার কারণে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে। সব মিলিয়ে অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই সময়টা আমাদের একটু সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য।তিনি আরও বলেন, গত সাত মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার প্রায় ৪০-৪৫ ভাগ কম হয়েছে। আমদানি এবং রপ্তানিতে যে ব্যবধানটা কমে এসেছে। আমরা কিছুটা সীমাবদ্ধতা নিয়ে এসে বিলাশবহুল গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যগুলোর আমদানি কমিয়ে এনেছি। নিত্যপণ্যের বাজারে ডলার ভ্যালু যতদিন পর্যন্ত ঠিক না হবে ততদিন পর্যন্ত ইমপোর্ট আইটেমের উপরের প্রভাব থাকবেই। তবে শীতকালীন পণ্যের দাম কিন্তু সহনীয় পর্যায়ে আছে। আর চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, তার দামতো বিশ্ব বাজরের ওপর নির্ভর করে। এটা কখন কমবে বা বাড়বে বলা বড় মুশকিল। টিসিবি এক কোটি পরিবারকে পণ্য দিচ্ছে, এটি চলমান থাকবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামীম তালুকদার ,আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক জাসেম বিন জুম্মন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।