মোঃ জালাল উদ্দিন: প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি নেতৃত্বে মৌলভীবাজারে গণতন্ত্র হ ত্যা দিবসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।
বিক্ষোভ সমাবেশে নাসের রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের উপর দিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রের লেবাস পরে স্বৈরতন্ত্র চালু করেছে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ও বিএনপি ঘোষিত ১০দফা বাস্তবায়নে চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের আহব্বানও জানিয়েছেন প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের এম নাসের রহমান।
বুধবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ইং, বিকাল তিন টার সময় শহরের ফরহাদ প্লাজার সামনে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আয়োজনে ‘গণতন্ত্র হত্যা‘ দিবসের বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাসের রহমান এসব কথা বলে।
বক্তব্যে নাসের রহমান বলেন, আওমামী লীগ আর কিছু নয় তারা একটা মাস্তানতন্ত্রদল। তাদের জনগণের ভালমন্দ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই। দেশের জনগণ একশোর মধ্যে নিরানব্বই ভাগ বিরুদ্ধে গেলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তারা বেসিকেলি একটা মাস্তান সরকার। এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের হায়া শরম লজ্জা বলতে কিছু নেই। এই মাস্তান সরকার যদি আরও ক্ষমতায় থাকে তাহলে বুঝতেই পারছেন দেশের কি অবস্থা হতে পারে।
আরও নাসের রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ নেতাদের রাষ্ট্রের লুট করা টাকা বিদেশে পাচার করা তাদের সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের কাগজে আওয়ামী লীগের ৪৫৯জন নেতার দুবাইতে বাড়িঘরের তালিকা বের হয়েছে। এ দলটির পাতি নেতা থেকে বড় নেতা সবাই যে লুটপাটে জড়িয়েছে তা এখন দিনের আলোয় স্পষ্ট।
নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়া নিয়ে নাসের রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ইভিএমএ নির্বাচন করার জন্য খুব আনন্দ উচ্ছাসে ছিলেন। নানান চাপে তা বাতিল হওয়াতে এখন মাথায় হাত পড়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে করেছে। বিগত তিনটি নির্বাচনে দেশের জনগণ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে পারেনি। মানুষকে মামলা হামলা, গুম, খুন ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। দেশে নব্বইভাগ মানুষ এ গণবিচ্ছিন্ন সরকারের পতন চায়।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সল আহমেদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সদর উপজেলা বিএনপির সাধরাণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান নিজাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ রশিদ, জেলা যুবদল সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন উজ্জল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জি এম এ মোক্তাদির রাজু, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকিদুর রহমান সোহান, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ মোঃ শামিম জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিউর রহমান, ক্রিড়া সম্পাদক মোঃ বদরুল আলম, সদর থানা যুবদলের আহবায়ক মোঃ হাফেজ আহমদ মাহফুজ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমির মোহাম্মদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাই পিপলু, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সৈয়দ মোঃ জাবেদ আলী নাঈম ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ জনি আহমদ।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ আশিক মোশাররফ, মোঃ বদরুল আলম, মোঃ হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বকসি মিছবাউর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মোঃ শামিম আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহিম রিপন, প্রচার সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মারুফ আহমদ, খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোস্তফা মিয়া, জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল হেকিম, জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক সেলিম, জেলা মহিলা দলের নেত্রী শ্যামলী সূত্রধর, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শফি, মোঃ শফিকুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল জলিল জামাল, রাজনগর উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ আশিকুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোঃ শামিমসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদল, ওলামাদল, শ্রমিকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।