শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Homeসারাবাংলারাজাপুরে সংবাদ প্রকাশের পরে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজস্ব খাতে জমা অর্থের পরিমাণ

রাজাপুরে সংবাদ প্রকাশের পরে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজস্ব খাতে জমা অর্থের পরিমাণ

রেজাউল ইসলাম পলাশ: ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড বিতরনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রাজস্ব খাতের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার (দুর্নীতি) বিষয়ে আজকের কাগজ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশের পর বৃদ্ধি পাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রাজস্ব খাতের অর্থ জমার পরিমাণ। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে কিন্তু ফটোকপি আছে, কিংবা নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রে স্লিপ হারিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে রাজস্বের টাকা। গত শুক্রবার ঢাকা ও বরিশাল থেকে প্রকাশিত জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর নরেচরে বসেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফ সহ সংঘবদ্ধ এ চক্রটি। আসল জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়া সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যবস্থাপনায় আনা হয়েছে আমুল পরিবর্তন। শনিবার (২৭ জুলাই) উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ দিনের মতো স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পূর্বের অর্থ আদায়ের নিয়ম কানুনের তুলনায় ভিন্ন চিত্র। মোবাইল / এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ আদায় করার কক্ষটিতে পূর্বে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থাকলেও তা ব্যবহার করা হতো না এবং টাকা আদায় করে সেবা গৃহীতাকে কোন কার্বন কপি জমা স্লিপ না দিয়ে একটি মাত্র পাতায় নাম, আইডি নাম্বার ও অংকের পরিমান লিখে দিত কিন্তু এখন দেখা যায় পুরোটাই ভিন্ন। টাকা আদায় করার সময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস (মোবাইল, কম্পিউটার) ব্যবহার এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর তিন পাতার নগদ গ্রহণ রশিদ (সেলফ কার্বন) কপি এবং লিপিবদ্ধ করছেন রেজিষ্টারেও। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিধান অনুযায়ী সেবা গ্রহীতার অর্থ মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা করে তাদের দিচ্ছেন না ট্রেনজেকশন আইডি। গত ২৪ এবং ২৫ তারিখে হারিয়ে যাওয়ার পরিচয় পত্রের অনুকূলে জমা হওয়ার যে সংখ্যা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করেছেন তার চেয়ে আনুপাতিক হারে এখন ৩০০% বেশি লিপিবদ্ধ করছেন। স্থানীয়দের অভিমত সেবা গ্রহনের অর্থ শেষ পর্যন্ত সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হবে কি।
উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফ এর ভাষ্য মতে, শুক্তাগড় ইউনিয়নে বিতরণের ১ম দিন ৫১ জন, ২য় দিন ৬৪ জন সেবা গ্রহীতা সেবা গ্রহনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রাজস্ব খাতে টাকা জমা করেন বলে দাবী করেন। আর নিউজ প্রকাশের পর ৩য় দিন ৮৪ জন এবং ৪র্থ দিন শনিবার ১৪৬ জনের কথা জানা যায়। তবে বিতরণ স্থলে উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য ও নেত্রীস্থানীয়দের ধারনা প্রথম দুই দিন সেবা গ্রহীতার সংখ্যা কাগজে কলমে দেখানোর চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
এ ব্যপারে শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মৃধা জানান, হারিয়ে যাওয়া কার্ডের জন্য জনপ্রতি ৩৪৫ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নেওয়ার কথা জানতাম কিন্তু এখন দেখি নির্বাচন অফিসার এখানেই লোক বসিয়ে জনপ্রতি ৩৬০ টাকা করে জমা নিচ্ছেন।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments