বাংলাদেশ প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে নার্স দিয়ে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর পর করোনা বলে চালিয়ে দিয়েছিলো ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এমনকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানিয়ে দাফনে বাধ্য করা হয়েছিলো। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত এবং ক্লিনিক মালিক ও নার্সসহ ৫ জনকে গ্রেফতারের পর বের হয়ে আসছে মূল রহস্য।
গর্ভপাতের কথা বলে ওই কলেজছাত্রীকে ১৪ মে নগরীর সিটি হেলথ ক্লিনিকে নিয়ে আসে তার বন্ধু সেজান। কিন্তু চিকিৎসক ছাড়াই নার্স ও আয়া দিয়ে অপারেশন করাতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে চলে যাওয়ার পরেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোনো চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেনি।
এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় ১৫ মে মারা যান এই কলেজ ছাত্রী। এরপর শুরু হয় মরদেহ নিয়ে টালবাহানা। বলা হয় করোনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
সিএমপির উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান জানান, পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ২ জুন আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের পর বের হয়ে আসে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর মূল রহস্য। ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আটক করা হয় ক্লিনিক মালিক হারুন, ২ নার্স এবং ১ জন আয়াকে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী জানান, বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়া হয়েছে। এখন নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। কলেজছাত্রীর বন্ধু সেজানকে আগেই গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ।