শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
Homeসারাবাংলাএকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

বাংলাদেশ প্রতিবেদক: মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বিজয় (বাবু) (১৯)কে কোলে পিঠে করে অতি আদরে লালন-পালন করা আব্দুর রশিদ (৬৫) এর শাষন ও অনুরাগ সইতে না পেরে হত্যা করে লাশ ঘরের ভিটি মাটিতে পুঁতে রাখে।

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার হরিপুর দেউলী হতে গত ১১ই অক্টোবর আব্দুর রশিদ (৬৫) নিখোঁজ বলে চারদিকে আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুজি করে। ১৪ই অক্টোবর তারিখ অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় আব্দুর রশিদ (৬৫) এর ঘরের চারদিকে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরলে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে দেখতে পায় যে, মাটিতে পুঁতে রাখা আব্দুর রশিদ (৬৫) এর লাশ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িযে পরছে।

মুক্তাগাছা থানা পুলিশের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ মাটিতে পুঁতে রাখা লাশের সংবাদ পেয়ে মাননীয় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নির্দেশে মুক্তাগাছা থানা পুলিশকে সহায়তা করতে নৃশংস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সর্ম্পৃক্ত হয়। আব্দুর রশিদ (৬৫) এর নৃশংস হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়।জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর এসআই(নিঃ) মোঃ আজগর আলী, সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করে মামলার হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী সনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদ (৬৫) দীর্ঘদিন যাবৎ বিপত্নীক জীবন যাপন করেন। বাব-মায়ের বিচ্ছেদের কারনে অনাদরে থাকা তার নাতি বাবু (১৯)কে আদরে-যত্ন, কোলে-পিঠে করে লালন-পালন করেন। বিপত্নীক আব্দুর রশিদ (৬৫) বিগত প্রায় ০১ বছর পূর্বে বাবু (১৯)কে বিয়ে করিয়ে নাতি বৌ ঘরে তুলে আনেন। উপার্জন বিহীন বেকার নাতিকে উপার্জনের তাগিদ দিলে বাবু (১৯) ক্ষেপে গিয়ে তার নব বধুকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার জন্য আব্দুর রশিদ (৬৫) কে উল্টো চাপ প্রয়োগ করে। আব্দুর রশিদ (৬৫) জমি বিক্রি করে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে বাবু (১৯) তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর টিম আসামী ১। মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম বিজয় @ বাবু (১৯),পিতা-মোঃ জিয়াউর রহমান, মাতা- মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন, সাং-হরিপুর দেউলী, থানা-মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহকে আটক করিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিলে হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং ঘটনাটি স্ব-বিস্তারে বর্ণনা করে। আসামী বাবু (১৯) গত ১০/০১০/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আব্দুর রশিদ এর সাথে ঘুমিয়ে পরে। পূর্ব পরিকল্পনা মতে আসামী বাবু (১৯) হত্যার করার জন্য গভীর রাতে ঘরে রক্ষিত লোহার শাবল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা আব্দুর রশিদ (৬৫) এর মাথায় ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। আব্দুর রশিদ (৬৫) অচেতন ও আঘাতের কারনে নিথর হয়ে পরলে

আসামী বাবু (১৯) মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে হত্যাকান্ডটি লোক চোখের আড়ালে নিতে ও নিজেকে হত্যার দায় হতে রক্ষা করতে মৃত আব্দুর রশিদ (৬৫) এর লাশটি শাবল দিয়ে মাটি খুঁরে ঘরের মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। রাত শেষ হলে আব্দুর রশিদ (৬৫) এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (২১) এর নিকট বিক্রি করে। জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর এসআই(নিঃ) মোঃ আজগর আলী আসামীর দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থল হইতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত শাবল ও মৃত আব্দুর রশিদ(৬৫) এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। আসামী মামলার ঘটনার বিষয় বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments