জয়নাল আবেদীন: রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী পুলিশ দীর্ঘ ৫ ঘন্টা এলাকাবাসীর তীব্র বাঁধার মুখে থাকার পর অবশেষে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাজহাট মেট্রোপলিটন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম শিপলুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে রংপুর নগরীর দর্শনা মোড় রেল গেট এলাকায় শিপলুর ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল কাদের বলেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়েছেন। এর আগে বিকেলে দর্শনা মোড় রেল গেট এলাকার ভগ্নিপতির বাড়িতে জাকারিয়া আলম শিপলুকে আটক করতে যায় পুলিশ। আটক করতে যাওয়ার বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পরলে ওয়ার্ড ও এলাকার নারীরা পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং বাড়ির ভিতরে পুলিশ কে প্রবেশে বাধা তৈরি করে। এদিকে সময় বাড়ার সাথে সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে । এসময় পুলিশের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা কয়েক দফা চেষ্টা করেন শিপলুর সাথে কথা বলতে, কিন্তু এলাকাবাসীর বাধার মুখে সম্ভব হয়নি। পরে রাত ৯ টার দিকে জাকারিয়া আলম শিপলু বাসার নিচে নেমে এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করে।পরে এলাকাবাসীর প্রচন্ড বাধার মুখেও গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নেয়া হয় কাউন্সিলর শিপলুকে। এদিকে রসিক কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুর আইনজীবী মাহামুদুল হক সেলিম সাংবাদিকদের জানান,কাউন্সিলরকে যে মামলায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিয়ে এসেছেন আটক করে সে মামলা সম্পর্কে তিনি জানতেন না।এই মামলার চার্জ শীটে গিয়ে কাউন্সিলর কে অভিযুক্ত করেন পুলিশ। আগামীকাল আদালতে কাউন্সিলর এর জামিন আবেদন করা হবেও বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য গত ৫ এপ্রিল যমুনা টেলিভিশনের ক্রাইম সিন এ অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করায় যমুনা টেলিভিশনের রংপুর প্রতিনিধিসহ তিনজনের নামে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন আটক জাকারিয়া আলম শিপলু। পরদিন সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন থেকে মামলা প্রত্যাহারসহ জাকারিয়া আলম শিপলুকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয় ।