জয়নাল আবেদীন: রংপুরে বাসা থেকে মোস্তাকিম ইসলাম নামে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে মহানগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মুলাটোল ছোট পুকুরপাড় সংলগ্ন ব্যাংক কলোনি এলাকার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।আইনজীবী মোস্তাকিম ইসলাম রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ট্যাক্সের হাট এলাকার খাদেমুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্ত্রী রিমু বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন। সেখানে একই ইউনিটে তার ছোট ভাই আলাদা থাকতেন।
এদিকে প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ জানান, মোস্তাকিম ইসলামের গ্রামের বাড়ি বদরগঞ্জের ট্যাক্সের হাট এলাকায়। সেখানে বাবা ও এক ভাই থাকেন। রংপুরের ওই বাসায় ছোট ভাই ও মোস্তাকিম তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তিন-চার দিন আগে মোস্তাকিমের স্ত্রী রিমু আক্তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। তাদের কোনো সন্তান নেই। মোস্তাকিমের ছোট ভাই সোহান জানান, শুক্রবার রাতে তার বড় ভাইকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় বিছানার ওপর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো ছিল। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রিমুর মামা রাশেদ খান ডালিম জানান, দুই তলা ভবনের নিচতলা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয় তলার এক ইউনিটে মোস্তাকিম ও তার স্ত্রী এবং অন্য ইউনিটে ছোট ভাই সোহান তার স্ত্রীসহ বসবাস করেন। রাত সাড়ে বারোটার দিকে ওই বাড়িতে এসে দেখি মোস্তাকিমের মরদেহ বিছানায় শোয়ানো ছিল।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে খবর পেয়ে আমরা ওই বাসার দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখি অ্যাডভোকেট মোস্তাকিমের মরদেহ মেঝেতে পড়ে ছিল। সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় মোস্তাকিমের গলায় ফাঁস দেয়ার ক্ষতচিন্হ দেখা যায়। তবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছেন। মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে এটি আসলে আত্মহত্যা কিনা। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।