বিমল কুন্ডু: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসন ভবনে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যদিয়ে দিনের অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম। পরে প্রশাসন ভবন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বাঙালি যে আনন্দ লাভ করেছিল, অবিসংবাদিত নেতাকে ফিরে পাওয়ার পর সে আনন্দ পূর্ণতা লাভ করে। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হলেও আমাদের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। কারণ, বাঙালি জাতির শৃঙ্খলমুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশ নামক কাব্য যিনি রচনা করেছিলেন, ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি তখনও কাছে পায়নি। পাকিস্তানের একটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অব্যাহত চাপে ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার মুক্তি দিলে তিনি লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে এলে বাঙালি জাতির বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পায়।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, নৃত্য, সঙ্গীত ও নাটক পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।