বাংলাদেশ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন আলোচিত সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত খালাসের রায় ঘোষণা করেন।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, আজ আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তিনি আসেননি। সাক্ষী না আসায় আসামিকে খালাস দেন আদালত।
এদিকে সেফুদাকে খালাস দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ মামলার বাদী ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী (জীবন)। তিনি বলেন, ‘আমি এ মামলায় সাক্ষী দিয়েছি। এরপর একটা ডেট গেছে সাক্ষী আসেননি। আর আজ আমি অসুস্থ থাকায় টাইম পিটিশন দেওয়া হয়। আদালত থেকে সাক্ষীদের সমন পাঠানো হয়েছে। সমন ফেরতও আসেনি। মামলাটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি ও ধর্ম অবমাননার। কিভাবে আদালত পলাতক একজন আসামিকে খালাস দিলেন? আমি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন যা আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক। তিনি এমন মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের সামিল।
২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফুদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি আদালত সেফুদার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এরপর আলীম আল রাজী (জীবন) সাক্ষ্য দেন।