অতুল পাল: বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রি তানিয়া আক্তার (১২) সহ তার পরিবারের তিনজনকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানিয়া এখনো বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ মামলা দায়ের এবং আসামিদের আটকের কথা বলে টাকাও নিয়েছে বলে তানিয়ার মা রুশিয়া বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন। জানা গেছে, দ্বিপাশা গ্রামের চানু মোল্লার স্ত্রী রুশিয়া বেগমের সাথে একই বাড়ির সামছু মোল্লার সাথে বাড়ির ভাগবাটোয়রা সহ বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার টাকা নিয়ে গত ২৯ জুন শনিবার দুপরে ঝগড়া হয়। ওই দিন বিকালে রুশিয়া বেগমের কণ্যা দ্বিপাশা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রি তানিয়া আক্তার গণিত পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়িতে প্রবেশের মুহুর্তেই সামুস মোল্লা ও তার ছেলে মামুন তানিয়াকে বেধরক পিটিয়ে জখম করে। মেয়ের চিৎকারে মা রুশিয়া বেগম ও বোন রুমা এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষারা তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ওই দিনই তানিয়ার ভাই কামাল মোল্লা বাউফল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানার এএসআই শামীম হাওলাদার মামলা দায়ের ও আসামি আটকের জন্য তার কাছে একটি বড় অংকের টাকা দাবি করেন। কামাল উপায় না পেয়ে দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পুলিশ আজ পর্যন্ত কোন মামলাও দায়ের করেননি এবং কোন আসামিকেও গ্রেপ্তার করেননি। এবিষয়ে এএসআই শামিম হাওলাদার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, কামাল মোল্লাকে জিডি করতে বলেছি এবং তিনি জিডি করেছেনও। জিডিতে বর্ণিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ভূক্তভোগিদের আমার কাছে পাঠিয়ে দেন, আমি বিষয়টি দেখবো।