মো: রবিউল ইসলাম: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জে ৫ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগে শোহরাব হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের একটি দোকান থেকে ধর্ষনের অভিযুক্ত শোহরাব হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত শোহরাব হোসেন নোয়াপাড়া গ্রামের পুরান বাড়ীর ইমাম হোসেনের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পুরান বাড়ীতে। এ ব্যপারে স্কুল ছাত্রীর মা লুৎফা বেগম শুক্রবার রাতে রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ও মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সময় নোয়াপাড়া পুরান বাড়ীর লোকজন বাড়ীর পাশ্ববর্তি নালায় মাছ ধরতে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর নোয়াপাড়া পুরান বাড়ীর জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে স্থানীয় নোয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১২) মাছ ধরা দেখতে যাওয়ার সময় বাড়ীর পূর্ব পাশের ঘাটলায় পথরোধ করে একই বাড়ীর চাচাতো ভাই সর্ম্পকৃত ধর্ষক শোহরাব হোসেন স্কুল ছাত্রীর মুখ ছেপে ধরে তাকে ধর্ষন করে। এসময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে শোহরাব হোসেন তার হাতের মুঠোয় ৫০ টাকা দিয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে। সন্ধার কিছুক্ষণ আগে স্কুল ছাত্রীর মা ঘরে ফিরে আসলে ধর্ষিত স্কুল ছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। ঘটনাটি এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য লোককে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাটি প্রকাশ না করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে চাপ প্রয়োগ করে। মেয়েটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম রামগঞ্জ থানা পুলিশে ঘটনাটি জানালে রামগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই কাউসারুজ্জামান শুক্রবার রাতে লোকজনের সহযোগীতায় ধর্ষক শোহরাব হোসেনকে নোয়াপাড়া বাজারের একটি দোকান থেকে আটক করে। রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে শোহরাব হোসেন আটক করেছি। এ ব্যপারে রাত ১০টায় স্কুল ছাত্রীর মা লুৎফা বেগম রামগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষনের আলামত সংগ্রহে স্কুলছাত্রীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হবে।